আলু দিয়েই চুল গজানো বৃদ্ধি করুন। ছবি: সংগৃহীত।
দামি সিরাম, হেয়ার মাস্ক, নামী শ্যাম্পু ব্যবহার করেও কোমর ছাড়ানো চুলের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না? কখনও বা হেঁশেলেরই পাঁচ-সাতটি উপকরণ মেখে কেশচর্চা করছেন। তবু তেমন উপকার মিলছে না। কখনও কখনও সমাধান লুকিয়ে থাকে খুব সাদামাঠা টোটকায়। ঘরোয়া কৌশলই প্রয়োগ করুন, তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন এক সব্জি, যা ভারতীয়দের ঘরে ঘরে পাওয়া যায়। সারা বছরই এই সব্জি বাজারে লভ্য। আর তা হল, আলু। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু কী ভাবে ও কত বার ব্যবহার করতে হবে, সেটি জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
আলুর রস বানাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে আলুর রস তৈরি করবেন?
১. দু’টি মাঝারি আলু ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়ান।
২. আলুগুলি গ্রেটারে ঘষে নিন, অথবা ছোট ছোট করে টুকরো করে মিক্সারে বেটে নিন।
৩. মিহি হয়ে যাওয়া আলু হাত দিয়ে চিপে চিপে রস বার করে নিন, অথবা নরম কাপড়ে আলুবাটা নিয়ে রস ছেঁকে নিন।
৪. সঙ্গে সঙ্গেই তেল মাখার মতো রসটুকু মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিন।
সপ্তাহে অন্তত এক বার ব্যবহার করুন। যাঁদের চুল খুব শুষ্ক বা ভাঙন ধরে, তাঁরা সপ্তাহে দু’বারও ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আলুর রসের সঙ্গে অল্প লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন। চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করে ভাঙন রোধ করতে পারে এই মিশ্রণ।
কেন আলুর রস এত উপকারী?
প্রয়োজনীয় ভিটামিনে ভর্তি আলুর রসে রয়েছে পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। তা ছা়ড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবারও রয়েছে আলুর রসে। তাই আলুর রস মালিশ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এতে থাকা স্টার্চ মাথার ত্বকে থাকা অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করে। ফলে ফলিকলগুলি নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পায়, এবং নতুন চুল গজানোর গতি বাড়ে। তেল শোষণের পাশাপাশি শুষ্কতা রোধেও কাজে লাগে আলুর রস।