চুলের জন্য কোনটি ভাল, দুধ না দই? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর, চুল, ত্বক— সব কিছুর সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠিই রয়েছে ঘরোয়া উপাদানে। চুল ঝরা, পাতলা হয়ে যাওয়া, অথবা রুক্ষ হয়ে যাওয়ার থেকে রেহাই পেতে হেঁশেলেরই নানা উপকরণে সুরাহা খুঁজছেন অনেকে। তবে দু’টি সাধারণ উপাদান নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধন্দ। প্রশ্ন জাগে, কোনটি ভাল, কোনটি বেশি উপকারী? সেই উপাদান দু’টি হল, দুধ ও দই। চুলের যত্নে বেশ আলোচিত এই দুই উপকরণ। জেনে নিন কোনটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভাল? দু’টির মধ্যে পার্থক্যই বা কী?
চুলের যত্নে দুধের ভূমিকা
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি চুলকে মজবুত করে। চুলের যত্নে দুধ ব্যবহার করলে সেটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। উপরন্তু, দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিটি চুল রেশমের মতো মসৃণ হতে পারে। শুষ্ক, রুক্ষ চুলের জন্য দুধ খুব কার্যকর, কারণ প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজ় করতে পারে। তবে দুধ চুলের বৃদ্ধিতে বা নতুন চুল জন্মানোর ক্ষেত্রে তেমন সক্রিয় নয়। এটি প্রধানত চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করে তোলার কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই দুধের সঙ্গে মধু ও কলা মিশিয়ে মাথায় লাগান। অ্যালো ভেরা আর দুধ মিশিয়ে মাখলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
চুলের যত্নে দইয়ের ভূমিকা
দই-তে রয়েছে প্রোবায়োটিক, ভিটামিন বি৫, প্রোটিন ও জ়িঙ্ক, যা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাক্টেরিয়া মাথার ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে পরিষ্কার রাখে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে ও চুলের গোড়া মজবুত করে। এর ফলেই নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে। মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে বলে খুশকির সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে। চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল তৈরিতে দুধের তুলনায় বেশি কার্যকর দই। দইয়ের সঙ্গে আমলকি, মেথি, নারকেল তেল মিশিয়ে উপকারী হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই।
কোনটি বেছে নেবেন?
উদ্দেশ্য যদি হয় উজ্জ্বল চুল, তা হলে দুধ মাখাই ভাল। কিন্তু যদি চুল ঝরা কমাতে, মাথার ত্বক ভাল রাখতে ও নতুন চুল গজাতে চান, তা হলে দই বেশি উপকারী। তবে সবচেয়ে ভাল ফল পেতে, দুধ ও দই একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে।