দীপাবলিতে সেজে উঠুন নিজস্ব সৌন্দর্যে। ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখতে কী করবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
কালীপুজো, দীপাবলির উৎসবে শুধু রংচঙে পোশাক পরলেই হল না, ত্বকের জেল্লা থাকাও জরুরি। পুষ্টিবিদেরা মনে করাচ্ছেন, সৌন্দর্য শুধু মুখে প্যাক ঘষে আসে না, বরং খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। পেটে সমস্যা হলে, লিভারের গোলমাল হলে, নিয়মিত জল খাওয়া কম হলে তার ছাপ পড়ে শরীর এবং মুখেও।
উৎসবের আগে জেল্লা ফেরাতে তাই ডায়েটেই খানিক বদল আনতে পারেন। পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানি সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কী ভাবে দিন দশেকেই ত্বকে জেল্লা ফেরানো যায়।
কখন কী খেতে হবে?
· সকাল শুরু করা যেতে পারে বিশেষ এক পানীয়ে। ১টেবিল চামচ আমলকির রস, আধ চামচ অ্যালে ভেরার রস ঈষদুষ্ণ এক গ্লাস জলে মিশিয়ে নিতে হবে। যোগ করতে হবে এক চিমটে হলুদ। পানীয়টি খেতে হবে ঘুম খেকে উঠে খালিপেটে। এতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণেই ত্বকে ফিরবে লাবণ্য।
· প্রাতরাশ আর মধ্যাহ্নভোজের মাঝের সময়টায় খাওয়া যেতে পারে জলে ভেজানো কুমড়োর ৪-৫টি কুমড়োর বীজ, ৪-৫টি আখরোট। আর খেতে হবে একটি পেয়ারা। পেয়ারা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনে পূর্ণ। কুমড়ো, আখরোটে মেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
· দিনে একবার খেতে হবে ডিটক্স পানীয়। জলে জিরে, মৌরি, ধনে ফুটিয়ে নিতে হবে আঁচ কমিয়ে মিনিট দশেক। সেই জল ছেঁকে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় খেতে হবে। এই পানীয় শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে, শরীর ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকও উজ্জ্বল হয়।নিয়মিত পানীয়টি একবার করে খেলে ব্রণের সমস্যা কমবে। মুখের কালচে ভাব দূর হবে।
· সবজা বা তুলসীর বীজ শরীর ঠান্ডা রাখে। সামান্য একটু গঁদ (খাওয়া যায় যেটি, বিশেষ ধরনের উদ্ভিজ্জ আঠা), গোলাপ জল এবং তুলসী বীজ মেশানো জলে ভিজিয়ে খেলে শরীরে আর্দ্রতার অভাব হবে না। সপ্তাহে ২-৩দিন এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে। রুক্ষ ত্বকের সমস্যা কমবে এতে।
· মেথি, পালং দিয়ে মুগডালের খিচুড়িও খুবই পুষ্টিকর। এই খাবারও ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিটি উপাদানই স্বাস্থ্যকর এবং শরীর-ত্বকের জন্য ভাল। তবে পুষ্টিবিদেরা সতর্ক করেন, ডায়েট ব্যক্তি বিশেষের শরীর এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হওয়া উচিত। নতুন ডায়েটের অন্ধ অনুকরণ ঠিক নয়। শরীর বুঝে খাওয়া দরকার। কিডনি, লিভারের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।