নিয়ম না জেনে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করছেন? চুলের ক্ষতি হতে পারে। ছবি:ফ্রিপিক।
রকমারি কেশসজ্জা হোক বা রুক্ষ চুলে জেল্লা ফেরানো—হেয়ার স্প্রের প্রয়োজন পড়ে যখন-তখন। রকমারি হেয়ার স্প্রের নানারকম কাজ। কোনও কেশসজ্জা দীর্ঘক্ষণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে, কোনওটি আবার কেশসজ্জার জন্যই ব্যবহার হয়। কোনও হেয়ার স্প্রে অতিরিক্ত তাপের হাত থেকে চুল বাঁচাতে সাহায্য করে।
তবে রাসায়নিক সমৃদ্ধ হেয়ার স্প্রে যথাযথ ব্যবহার না করতে পারলে, চুলের ক্ষতির সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হেয়ার স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এমনকী চুল ঝরা, ডগা ফাটার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষত হেয়ার স্প্রেতে অ্যালকোহলের মতো উপাদান থাকলে ক্ষতির সম্ভবনা আরও বেশি। হেয়ার স্প্রে ব্যবহারের আগে জেনে নিন, তার সঠিক কায়দা।
অতিরিক্ত ব্যবহার নয়: চুল সেট করতে গিয়ে অনেক সময় প্রচুর পরিমাণে স্প্রে করা হয়। এই ধরনের অভ্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষত নিয়মিত এই ধরনের স্প্রের ব্যবহার মোটেই ভাল না। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, স্প্রে ব্যবহার করা দরকার প্রয়োজনমতো এবং পরিমিত। যত কম তা দেওয়া যায় ততই ভাল।
চুলের ধরন: হেয়ার স্প্রে বিভিন্ন রকম হয়। এক একটির কাজ এক একরকম। চুলের ধরন, ঠিক কোন কাজটি চাইছেন সেটি বুঝে তা ব্যবহার করলে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।
কেশসজ্জা: চুল সোজা বা কোঁকড়া করার সময় প্রচণ্ড তাপে চুলের ক্ষতি এড়াতে নির্দিষ্ট হেয়ার স্প্রে পাওয়া যায়। চুল সোজা করার আগে নির্দিষ্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। যে কোনও ধরনের স্প্রে ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
দূর থেকে: চুলের খুব কাছ থেকে এবং বদ্ধ জায়গায় স্প্রে ব্যবহার না করা ভাল। স্প্রেতে থাকা রাসায়নিক নাকে-চোখে গেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। অন্তত ২৫-৩০ সেন্টিমিটার দূর থেকে চুলে স্প্রে ব্যবহার করা দরকার।
হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে কেশসজ্জা করলে, পরবর্তীতে চুল ভাল করে শ্যাম্পু করে নেওয়া প্রয়োজন। যাতে কোনও রাসায়নিক চুলে না থেকে যায়। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। এতে চুল নরম এবং মসৃণ থাকবে।