ছবি : সংগৃহীত।
গরমে মাথার ত্বক ঘামে বেশি। আর ঘাম যখন ধুলোবালির সঙ্গে মিশে চুলের গোড়ায় জমতে শুরু করে, তখনই সমস্যার সূত্রপাত। চুলপড়া, খুশকি, মাথার ত্বকে অস্বস্তিকর চুলকানি, লালচে ভাব— অনেক কিছু হতে পারে। আর এ রোগের একটি নামও আছে— সেবোরিক ডার্মাটাইটিস।
সেবোরিক ডার্মাটাইটিস এক ধরনের ছত্রাকজাত ইস্টের সংক্রমণ। যা মাথার ত্বকে হয় ঘাম আর ধূলোময়লা জমে হেয়ারফলিকলের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে। এতে এক দিকে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। অন্য দিকে, মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া আর ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দেখা দেয় ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজাত নানা ধরনের রোগ। তেমনই এক রোগ হল সেবোরিক ডার্মাটাইটিস। যা হলে চুল পড়া, মাথার ত্বক চুলকানো, র্যাশ বেরোনোর মতো সমস্যা হতে পারে। আর এই সবই হয় ছত্রাকজাত ইস্ট থেকে। যে ইস্ট ত্বকেই থাকে। কিন্তু ঘাম আর ময়লার উপস্থিতিতে তা এক ধরনের প্রদাহ তৈরি করে। যা থেকে গরমে চুল ঝরতে পারে।
কী ভাবে সমাধান সম্ভব?
১। চুল প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। কম রাসায়নিক যুক্ত, সালফেট মুক্ত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে রোজ চুল ধুতে পারেন।
২। চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। এই ধরনের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করার জন্য চুলের গোড়া মজবুত হওয়া দরকার। তাই ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য জরুরি।
৩। প্রচুর পরিমাণে জল খান। অনেক সময় শরীরে জলাভাব হলেও তা চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই শরীর এবং চুলকে আর্দ্র রাখুন।
৪। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। প্রথমে এক লিটার জল নিন। তাতে আধ কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার গুলে নিন। চুলে শ্যাম্পু করার পরে ওই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় থাকবে। চুলের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫। এর পরেও সমাধান না হলে অবশ্যই ত্বক বা চুলের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।