পুজোর আগে জেল্লা বাড়বে মুখের, ফেস-মাসাজের নানা পদ্ধতি শিখে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
পুজো এসেই গেল প্রায়। ফেশিয়াল, ফেস-মাসাজ করানোর পরিকল্পনা আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে সময় হয়ে উঠছে না। এ দিকে দিনভরের ক্লান্তিতে মুখে ফোলা ভাব বেড়েই চলেছে। ক্লান্তি, হতাশা, মানসিক চাপের ছাপও স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে মুখে। চেহারায় বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে নিয়মিত স্পা, ফেসিয়াল করানো যেমন খরচের ব্যাপার, তেমনই সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া সালোঁয় গিয়ে এক দিন মাসাজ করালেই যে বলিরেখা দূর হবে, তা-ও নয়। সে কারণে ফেস-মাসাজের নানা পদ্ধতি শিখে নিয়ে বাড়িতেই করতে পারেন নিয়মিত। সকালে ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে মাসাজ করে নিলে ত্বক টানটান থাকবে, ফোলা ভাবও দূর হবে। পুজোয় সকলের মাঝে নজর কাড়তে, এখন থেকেই শুরু করতে পারেন। রইল সহজ কিছু পদ্ধতি।
গোটা মুখের মাসাজ
ত্বকের ধরন অনুযায়ী তেল বা সিরাম বাছতে হবে। দিনে বা রাতে, যে কোনও সময়েই মুখের মাসাজ করতে পারেন। চাইলে নিত্যব্যবহারের ক্রিম ব্যবহার করেও মাসাজ করা যাবে। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তা হলে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড তেল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক তৈলাক্ত হলে ও ব্রণ-ফুসকুরির সমস্যা থাকলে টি-ট্রি তেল খুব কার্যকরী হতে পারে। ত্বক যদি বেশি মাত্রায় স্পর্শকাতর হয়, তা হলে আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মোরিঙ্গা তেল। তা ছাড়া নারকেল তেল যে কোনও ত্বকের জন্যই স্বাস্থ্যকর।
হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে ঘাড়ের নীচ থেকে শুরু করে, উপরের দিকে চোয়াল অবধি মাসাজ করুন। তার পর চোয়ালের পাশ বরাবর আঙুল দিয়ে আলতো করে চাপ দিন এবং কান পর্যন্ত মাসাজ করুন। এর পর নাকের দু'পাশ থেকে কানের দিক অবধি টেনে নিয়ে যান। কপাল থেকে হেয়ারলাইন অবধি বৃত্তাকারে মালিশ করুন।
ফোরহেড লিফ্ট মাসাজ
কপালের কোঁচকানো চামড়া, বলিরেখার দাগ দূর করতে এই মাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক টানটান হবে, জেল্লাও বাড়বে। প্রথমে তেল, সিরাম বা ময়েশ্চারইজ়ার নিন। দুই হাতের আঙুল দিয়ে কপালের মাঝখান থেকে বাইরের দিকে (হেয়ারলাইনের দিকে) আলতো চাপ দিয়ে মালিশ করুন। এর পর কপালে উল্লম্ব ও আড়াআড়ি ভাবে ছোট ছোট বৃত্তাকারে মাসাজ করুন।
কপালের মাসাজ। ছবি: এআই।
আইব্রো পিঞ্চ
রাতে শোয়ার আগে মেকআপ তুলে হালকা তরল সাবান বা ঈষদুষ্ণ জলে পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে ভ্রু পরিষ্কার করে নিন। এতে সারা দিনের ধুলো, ময়লা উঠে যাবে। নরম ব্রাশের সাহায্যে ভ্রু গোল গোল করে ব্রাশ করতে থাকুন। যে দিকে ভ্রু বাড়ছে, সে দিকে বৃত্তাকারে ব্রাশ করতে হবে। দিনে দু’বার করলে ভ্রু ঘন হবে। অলিভ তেল বা ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে ভ্রু-র উপর থেকে কপাল অবধি মালিশ করুন। বৃত্তাকারে করতে হবে। এতে ভ্রু ঘন হবে ও আকারও ঠিক থাকবে।
চোখের মাসাজ
চোখের চারপাশে মাসাজ। ছবি: এআই।
চোখের চারপাশের ত্বক খুব পাতলা এবং সংবেদনশীল, তাই এখানে খুব আলতো হাতে মাসাজ করতে হবে। আই ক্রিম বা আমন্ড অয়েল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। তর্জনী এবং মধ্যমা ব্যবহার করে চোখের ভিতরের কোণ থেকে বাইরের কোণ পর্যন্ত আলতো করে চাপ দিন। এর পর চোখের নীচে এবং ভ্রু-র উপরে বৃত্তাকার গতিতে মালিশ করুন। খুব বেশি টানবেন না। এই মাসাজে চোখের ক্লান্তি দূর হবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, যাতে চোখের তলার কালি উঠে যাবে।
থুতনির মাসাজ। ছবি:এআই।
থুতনির মাসাজ
নারকেল তেল বা ময়েশ্চারইজ়ার দিয়ে থুতনির নীচে থেকে কান অবধি উপরেরদিকে টেনে মাসাজ করুন। এটি চোয়ালের পেশি শিথিল করতে এবং ডবল চিনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।