ছবি : সংগৃহীত।
ইদানীং নামীদামি প্রসাধনী সংস্থা তাদের ত্বকচর্চার সামগ্রীতে ‘রাইস ওয়াটার’-এর ব্যবহারের কথা ফলাও করে জানাচ্ছে। এই রাইস ওয়াটার আদতে ভাতের ফ্যান। অবশ্য চাল ধোয়া জলকেও রাইস ওয়াটার বলা চলে। এই তরলের বৈশিষ্ট্য হল, এটি মুখে লাগালে ত্বকের কালচে ছোপ দূর হয়। দাগ ছোপের রং হালকা হয়। ফলে রোদ-দূূষণ এবং আরও নানা কারণে ত্বকের কোনও অংশে কালচে আর কোনও অংশ উজ্জ্বল রঙের যে তফাত সাধারণত বোঝা যায়। তা উধাও হয়ে একটি মসৃণ একইরকমের রং ফুটে ওঠে। ত্বক হয় উজ্জ্বল। ব্রণের সমস্যাও কমে।
১. ফেস টোনার হিসেবে ব্যবহার
ভাতের ফ্যান প্রাকৃতিক টোনারের মতো কাজ করে। এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে, ত্বকের রন্ধ্রপথ বা পোরসের মুখ বন্থ করতে এবং ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: ঠান্ডা ভাতের ফ্যান একটি পরিষ্কার স্প্রে বোতলে বা পাত্রে রাখুন। প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করার পর তুলোর প্যাড বা বল ভাতের ফ্যানে ভিজিয়ে আলতো করে পুরো মুখে ও গলায় লাগান। অথবা স্প্রে বোতল দিয়ে সরাসরি মুখে স্প্রে করতে পারেন।
২. ফেস মাস্ক বা প্যাক হিসেবে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মসৃণতা আনতে ফেস মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
ব্যবহার পদ্ধতি: ২ চামচ ভাতের ফ্যান-এর সাথে ১ চামচ মধু (ত্বকের আর্দ্রতা বা ময়েশ্চারাইজারের জন্য) অথবা ১ চামচ বেসন (ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করার জন্য) ভাল করে মিশিয়ে একটি ঘন প্যাক তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি আপনার মুখ ও গলায় সমানভাবে লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ব্রণ ও ত্বকের প্রদাহ কমাতে
ভাতের ফ্যানে থাকা উপাদান ত্বকের জ্বালা বা প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ সারাতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যবহার পদ্ধতি: ভাতের ফ্যান ভাল ভাবে ঠান্ডা করে নিন। ত্বকের ব্রণ বা লাল হয়ে যাওয়া অংশে ঠান্ডা ভাতের ফ্যান একটি তুলোর প্যাড বা বলের সাহায্যে আলতো করে লাগিয়ে দিন। দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে আরাম দেয়।