মেদ ঝরাতে না পারলে সম্মুখীন হবেন নানা অসুখের, তাই সাবধান হোন। ছবি: শাটারস্টক।
খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, উদ্ভট জীবনযাত্রা, প্রবল মানসিক চাপ, কম ঘুমোনো এ সবই ওবেসিটির অন্যতম কারণ। মেদবৃদ্ধির হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে হার্টের অসুখ, কিডনির সমস্যা এমনকি হাঁটুর অসুখও। শরীরের পুরো ওজন পায়ের উপর পড়ায় রিউম্যাটয়েড অর্থ্রাইটিসও আসতে সময় নেয় না।
এককথায়, ওজন কমাতে পারলে অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়া অনেক সহজ হয়ে যায়। এ দিকে সারা দিনের কাজের চাপে শরীরচর্চা করার আলাদা করে সময় পাওয়া যায় না। তবে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, সারা দিনে একটানা আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতে পারলেও অনেকটা কাজ হয়।
যদি সেটুকু সময় আপনার হাতে থাকে, তা হলেও মেদ ঝরানোর কাজে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন বলে মত পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের। তবে তাঁর পরামর্শ, শরীরচর্চা বা খুব নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করতে পারলেও, প্রতি দিন সকালে একটি পানীয় রাখলে, সারা দিনের শরীরচর্চা ও কঠোর ডায়টের ঘাটতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যায়।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ভয়? সুস্থ থাকুন এ সব খেয়ে
শরীর-সাস্থ্য নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানতেন?
আদা ক্যালোরি বার্ন করতে সক্ষম।
তাঁর মতে, প্রতি দিন সকালে আদা ও জিরে দিয়ে তৈরি এই পানীয় খেলে পেটের মেদ ঝরবে দ্রুত। ১০০ গ্রাম আদা থেকে প্রায় ৮০ ক্যালোরি এনার্জি পাওয়া যায়। এ ছাড়া জরুরি কিছু খনিজের জোগান দিতেও এটি কার্যকর। আদা নানা শারীরিক সমস্যার সমাধান তো বটেই, তার উপর, আদার সঙ্গে জিরে যোগ হলে মেদ ঝরানোর কাজটাও অনেক সহজ হয়। আদা ক্যালোরি বার্ন করতে সক্ষম। তা ছাড়া, আদার রসে দ্রুত হজম হয় কার্গোহাইড্রেট। ফলে বিপাক হার বেড়ে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে।
আরও পড়ুন: এই সব অভ্যাস রপ্ত করালে খাওয়া নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না শিশুর
কী ভাবে বানাবেন
হাফ লিটার জল নিন। এতে এক টুকরো আদা ও এক চামচ জিরে ফেলে তা ফুটিয়ে নিন। যত ক্ষণ না জল ফুটে পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে তত ক্ষণ ফোটান জল। এই জল ছেঁকে খেয়ে নিন প্রতি দিন সকালে। পেট ও কোমরের মেদ কমাতে, এই পানীয় খুব কার্যকর। আরও ভাল ফল পেতে এর মধ্যে মধু ও লেবুর রসও যোগ করতে পারেন। তবে সঙ্গে অবশ্যই চিনি-তেল-মশলা কম খাবেন ও জল বেশি করে খাবেন।