Lifestyle News

বাবা হতে পারছেন না? রাতে ঘুমোতে যান তাড়াতাড়ি

কখনও দেরিতে বিয়ে, কখনও ব্যস্ততা, ক্লান্তি, স্ট্রেস বাবা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে যে সমস্যাগুলো জটিল বলে মনে হচ্ছে, রাত জাগা বা দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া সেই সমস্যারই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ১৫:৪৪
Share:

কখনও দেরিতে বিয়ে, কখনও ব্যস্ততা, ক্লান্তি, স্ট্রেস বাবা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে যে সমস্যাগুলো জটিল বলে মনে হচ্ছে, রাত জাগা বা দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া সেই সমস্যারই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।

Advertisement

তাঁরা জানাচ্ছেন, যদি আপনি বাবা হওয়ার চেষ্টা করেন বা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকেন তা হলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান। এবং সেটা অবশ্যই মধ্যরাতের আগে। চিনের হারবিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৯৮১ জন পুরুষকে নিয়ে একটি গবেষণা করেন। তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছিল এদের। একদলের ঘুমোতে যাওয়ার সময় ছিল রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে। একদল রাত ১০টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে ঘুমোতে যেতেন ও তৃতীয় দল ঘুমোতে যেতেন রাত ১২টার পর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমোতে যান তাঁদের স্পার্ম মোটালিটি অনেক বেশি। অর্থাত্, তাদের বীর্য অনেক সহজে ভাসতে পারে এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত করার ক্ষমতাও বেশি হয়। অন্য দিকে, যারা মধ্য রাতের পর ঘুমোতে যান তাদের স্পার্ম কাউন্ট যেমন কমে যায়, কমে যায় সক্রিয়তাও। এর পর গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যালার্ম সেট করে ঘুমোতে বলা হয়। যাতে তারা ৬ ঘণ্টা বা তার কম, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা এবং ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমোতে পারেন। দেখা গিয়েছে, ৬ ঘণ্টা বা তার কম সময় ঘুমোলে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ হতে পারে। একই ভাবে, ৯ ঘণ্টার বেশি বিছানায় শুয়ে থাকলেও তা বীর্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

আরও পড়ুন: বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সন্তানকে সময় দিন

Advertisement

দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব শরীরে অ্যান্টিস্পার্ম অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি একটি প্রোটিন যা সুস্থ বীর্য নষ্ট করে দিতে পারে। গবেষকরা বলছেন, যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন তাদের স্পার্ম কাউন্ট যারা নিয়মিত ৮ ঘণ্টা করে ঘুমনোর সময় পান তাদের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন