চ্যবনপ্রাশ বানানোর পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত।
চ্যবনপ্রাশের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে নস্টালজিয়া। রান্নাঘরের তাকে রাখা কাচের জারে ভর্তি টক-মিষ্টি জ্যামের প্রতি নজর থাকত ছোটদের। তবে সুখবর হল, এক চামচ চ্যবনপ্রাশেই লুকিয়ে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ। ভারতীয় হেঁশেলে বহুকাল ধরে সমাদৃত এই চ্যবনপ্রাশ। শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে এই ঋতুতে চ্যবনপ্রাশ রাখা থাকে অনেক বাড়িতে। সকল বয়সের মানুষের জন্যই উপকারী বলে দাবি পুষ্টিবিদদের। তবে, দোকান থেকে কেনা চ্যবনপ্রাশে কখনও কখনও ভেজাল থাকতে পারে, যা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু খুব সহজেই খাঁটি, প্রিজ়ারভেটিভ-মুক্ত চ্যবনপ্রাশ তৈরি করা যায় বাড়িতে। সহজ রেসিপি শিখে নিন।
অঢেল স্বাস্থ্যগুণ লুকিয়ে চ্যবনপ্রাশে। ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
৫০০ গ্রাম আমলকি
৫০০ গ্রাম গুড়
৫ চা চামচ মধু
২ চা চামচ ঘি
১০ গ্রাম দারচিনি গুঁড়ো
২ গ্রাম কালো এলাচ
১৫ গ্রাম সবুজ এলাচ
৫ গ্রাম গোলমরিচ
২৫ গ্রাম আদাগুঁড়ো
৫ গ্রাম জায়ফল
এক চিমটে কেশর
১০ গ্রাম লবঙ্গ
১টি জয়িত্রী
প্রস্তুতপ্রণালী
আমলকিগুলি ভাল করে ধুয়ে প্রেশার কুকারে ২-৩টি সিটি দিয়ে নিন। আমলকিগুলি বার করে প্রথমে ঠান্ডা করে নিন। তার পর বীজগুলি ফেলে হাত দিয়ে চেপে চেপে মসৃণ পেস্টে পরিণত করুন। অন্য দিকে একটি কড়াই বা প্যানে ঘি ঢেলে গরম করুন। তার উপর আমলকির পেস্ট ঢেলে দিন। ঢিমে আঁচে ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিন।
আর একটি বড় পাত্রে, অল্প জলে গুড়ের গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়াতে থাকুন। ঘন না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। গুড়ের এই সিরাপে রান্না করা আমলকির মিশ্রণটি ঢেলে ভাল ভাবে মেশিয়ে নিন, যাতে মিহি হয়ে যায়।
অন্য একটি ক়ড়াইয়ে সমস্ত মশলা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। তাতে আমলকির মিশ্রণটি মিশিয়ে একনাগাড়ে নাড়তে থাকুন। আরও ১০-১৫ মিনিট কম আঁচে রান্না করে নিন। তার পর গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে মধু মিশিয়ে পরিষ্কার কাচের জারে ভরে রাখুন। ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই।
ঘরে বানানো চ্যবনপ্রাশে প্রিজ়ারভেটিভ থাকে না। উপরন্তু সমস্ত উপকরণের স্বাস্থ্যগুণ অটুট থাকে। শীতের সময়ে রোজ দু’চামচ করে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়ের জোর বাড়ে, শরীর ভিতর থেকে উষ্ণতা পায়।