মাসকারার ব্রাশকে ঘরোয়া উপায়ে কাজে লাগিয়ে সুন্দর করুন চোখ। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
দুর্গাপুজো কাটলেও উৎসবের মরসুম এখনও কাটিয়ে ওঠেনি মানুষ। তাই সাজগোজ থেকে ফ্যাশন কোনও উৎসাহেই ঘাটতি পড়েনি এখনও। কিন্তু উৎসবের সাজগোজ ছাড়াও সারা বছরই কম-বেশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, ত্বক ও শরীরের হিতার্থে। যে সব নিয়ম না মানলে, বাইরের কেমিক্যালস ও মেক আপের প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের।
যেমন চোখ। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিচারে সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে এর উপর। প্রিয়া প্রকাশকে মনে আছে? চোখের জাদুতে নিমেষে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। চোখের সৌন্দর্য আবার অনেকটাই দাঁড়িয়ে থাকে চোখের পাতা ও ভ্রূ-র উপর। কেবল চোখের পাতা আর চাহনির জমাট রসায়নেই সকলের মন জিতেছিলেন প্রিয়া।
আমরাও চাই চোখ সুন্দর হোক। তবে ওই চাওয়াটুকুই সার। সারা বছর প্রায় কোনও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চোখের ভ্রূ ও পাতাকে সুন্দর করতে আমরা অনেকে শরণ নিই কেবল আইব্রো পেন্সিল, মাসকারা, নকল আইল্যাশের। আজকাল অনেক পুরুষও নকল চোখের পাতা ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, এ সব কৃত্রিম উপায় উল্টে ক্ষতি করে চোখের। সহজেই ঝরিয়ে দেয় ভ্রূ ও চোখের পাতা।
বরং এমন কিছু ঘরোয়া নিয়ম আছে, যা মানলে চোখের পাতা এমনিই লম্বা, ভরাট ও কালো থাকবে। প্রয়োজন হবে না কোনও কৃত্রিম সাজের।
আরও পড়ুন: বাড়িতে অতিথি? একটু অন্যরকম এই আইটেমগুলো খাওয়াতে পারেন
পুরনো কোনও মাসকারার তুলিকে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। এ বার প্রতি দিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাতে লাগিয়ে নিন ক্যাস্টর ওয়েল। চোখের পাতা ও ভ্রূ-তে লাগিয়ে ঘুমোতে যান। ক্যাস্টর ওয়েল না থাকলে নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। ভাল করে ধোয়া মাসকারার ব্রাশ দিয়ে চোখের পাতায় লাগান পেট্রোলিয়াম জেলি। নতুন চোখের পাতা গজাতে ও তা কালো করতে খুব কাজে আসে এই উপায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জলে ভেজানো গ্রিন টি’র ব্যাগ চোখের উপর কিছু ক্ষণের জন্য রাখুন। গ্রিন টি যেমন শরীরকে ডিটক্সিফায়েড করে, তেমনই চোখের পাতাকেও কালো ও ভরাট করতে সাহায্য করে। চোখের ভ্রূ-র ক্ষেত্রেও এই একই উপায় প্রযোজ্য।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: মেক আপে এই জিনিসটা রেখেছেন তো? নইলে কিন্তু ঠকবেন!
প্রতি দিন একটা করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান। ভিটামিন ই-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভ্রূ ও চোখের পাতা গজাতে সাহায্য করে। যদিও ভিটামিন ই যে কোনও মানুষের শরীরের জন্যই উপকারী, এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তবু ভিটামিন ই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে এক বার পরামর্শ নিয়ে নেবেন।