renal

অজান্তেই কিডনিতে পাথর জমছে কি? এ সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক থাকুন

কিডনিতে পাথর জমছে কি না কী ভাবে বুঝবেন?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৫০
Share:

কিডনির যত্নেই দূরে রাখুন পাথরের ভয়। ছবি: আইস্টক।

আধুনিক জীবনযাপনের ভুল প্রয়োগ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, খাওয়াদাওয়া ও জল খাওয়ার অনিয়ম, এ সবের প্রভাব পড়ে কিডনির উপর। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোমর বা তলপেটে কোনও ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রের সময় কোনও জ্বালা বা সমস্যা হচ্ছে কি না— এইগুলোর দিকেই খেয়াল রাখি আমরা।

Advertisement

তবে কিডনিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না বা অজান্তেই পাথর জমছে কি না তা টের পেতে গেলে এটুকু সাবধানতাই যথেষ্ট নয়। অন্তত নেফ্রোলজিস্টদের দাবি এমনই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিৎ তরফদার অবশ্য মনে করেন, কিডনিতে পাথর কোথায় রয়েছে, কতগুলি রয়েছে এ সবের উপরেও এই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। তাঁর মতে, “যদি খুব ছোট আকারের অল্প কয়েকটা পাথর থাকে, তা হলে কোনও লক্ষণ নাও বোঝা যেতে পারে। তবে সংখ্যায় বেশি হলে বা আকারে বড় হল অবশ্যই স্পষ্ট কিছু উপসর্গ থাকে। কেবলমাত্র সাধারণ ক’টা লক্ষণের বাইরেও কিছু উপসর্গ থাকে।”

লক্ষণ জানা থাকলে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া যায়, এতে শারীরিক কষ্টও কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হয়। আবার দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় অস্ত্রোপচার এড়ানোও যায় অনেক সময়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফ্যাট পুড়িয়ে ফেলুন শরীরেই, এই নিয়মে খেলে কিছুতেই বাড়বে না ভুঁড়ি

কিডনির যত্ন নিন এখন থেকেই, সচেতন হোন এ সব বিষয়ে

কিডনির যত্নে জল খাওয়ার পরিমাণে নজর দিন। ছবি: আইস্টক।

কিডনির কিছু সাধারণ যত্ন ও রেনাল স্টোন নিয়ে খুঁটিনাটি জানুন। রইল ভিডিয়ো।

কিডনিতে পাথর জমছে কি না কী ভাবে বুঝব?

কিডনির সমস্যা এলে সকলের আগে প্রভাব পড়বে মূত্রে। রঙের বদল হলে খেয়াল রাখুন। লালচে বা বাদামি প্রস্রাব পাথর জমলেও হয়। তাই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা জানান দেয় কোমরের ব্যথা দিয়ে। যদিও নানা কারণেই কোমর ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তবে মূত্রে জ্বালা, রঙের বদল এ সবের সঙ্গে কোমর ও তলপেটে ব্যথা থাকলে সচেতন হোন। ঘুসঘুসে জ্বর ঘুরেফিরে আসে কারও কারও ক্ষেত্রে। সঙ্গে বমি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। প্রায়ই কি মূত্রথলি বা প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়? তা হলে প্রথম থেকে সতর্ক হয়ে চিকিৎসা করান।

লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই কিডনির যত্ন নিতে প্রতি তিন মাস অন্তর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু রুটিন পরীক্ষা করান। সঙ্গে শরীরের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী জল খান নিয়ম করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন