Healthy Skin

শীতকালে ত্বক সুস্থ রাখতে যে ফলগুলো খাবেন

শীত এলেই ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও প্রাণহীন। হারিয়ে যায় উজ্জ্বলতা। তাই আমরা ময়েশ্চারাইজারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৮:১৮
Share:

শীত এলেই ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও প্রাণহীন। হারিয়ে যায় উজ্জ্বলতা। তাই আমরা ময়েশ্চারাইজারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। এই সময়টাতে বাইরের ময়েশ্চারাইজারের থেকে ভিতরের ময়েশ্চারাইজার বেশি জরুরি। তাই শীতের সময় খাবারের প্রতিও নজর দিতে হবে। শীতে পিঠেপুলি তো চলবেই। ত্বক সুস্থ রাখতে পিঠের সঙ্গে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন নানান ফল, যেগুলো ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এই সাতটি ফলের কথা ভেবে দেখতে পারেন যা আপনার ত্বককে সুস্থ রাখবে। দেখে নিন কোন কোন ফলগুলো খাবেন-

Advertisement

অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই আছে। এই ফলটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার কারণে ত্বক হয় সুন্দর ও প্রাণবন্ত।

Advertisement

কাজুবাদাম

কাজুবাদাম ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

আঙুর

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঙুর ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। তাই শীতের দিনে নিয়মিত আঙুর খান। এটি আপনার ত্বককে সুস্থ রাখবে।

বেদানা

এই ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি’ও ঠাসা বেদানায়। যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁরা শীতে একটু বেশিই সমস্যায় পড়েন। ফাটা ত্বকে ধুলোবালি ঢুকে গিয়ে সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। বেদানার ভিটামিন সি লোমকূপকে শক্ত রাখে। ফলে ময়লা জমে না, আবার ত্বকও কুঁচকে যায় না। ব্রেকফাস্টের পর এক গ্লাস বেদানার রস খান নিয়মিত।

আরও পড়ুন: শীতকালে কোন খাবার খেলে ঠান্ডা কম লাগবে

আমলকি

ত্বক ডিটক্স করার জন্য আমলকির দোসর হয় না। রক্ত পরিশ্রুতও করে আমলকি। তা ছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের সমাহার ত্বক এবং চুলে পুষ্টিও জোগায়। দরকার পড়লে জুস বানিয়ে খান।

পাকা পেঁপে

ভিটামিন এ ভরপুর এই ফল। তা ছাড়া নানারকম ফ্রুট এনজাইম রয়েছে, যেগুলো ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খাওয়ার সময় এক টুকরো মুখে মেখেও নিতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন।

আতা

ভিটামিন এ ও সি— দু’টোই রয়েছে আতায়। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে তো রাখেই, তার সঙ্গে ন্যাচারাল স্ক্রাবারের কাজটাও করে। সংক্রমণও দূরে রাখে। আবার আতা যদি রস করে খাওয়া যায় নিয়মিত, তা হলে মরা কোষ ঝরে গিয়ে নতুন ঝকঝকে ত্বক তৈরি হবে ভিতর থেকে। কোথাও কেটে-ছড়ে গিয়ে থাকলেও আতার রস লাগান অনেকে। এটা কিন্তু পুরনো দাওয়াই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন