সকালে ঘুম থেকে উঠে হোক বা সারা দিনের ক্নান্তির পর। এক কাপ গরম চা শরীর, মন সব ভাল করে দিতে পারে। চা নিয়ে যেমন অবসেশনে ভোগেন ভারতীয়রা, তেমনই বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রয়েছে চায়ের প্রতি অদম্য ভালবাসা। কোথাও চা স্বাস্থ্যের জন্য খাওয়া হয়, কোথাও শুধুই উপভোগ করতে। জেনে নিন এমনই কিছু চা কাহিনি।
জাপান: যদি সবচেয়ে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর গ্রিন টি খেতে চান তা হলে আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে জাপানের মাচা। চিকিত্সকরা বলে থাকেন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ এই চা ক্যানসারে প্রতিরোধ দারুণ উপকারি।
থাই চা: তেঁতুল ও স্টার আনিজ দেওয়া একটু মিষ্টি স্বাদের চা খেতেই পছন্দ করেন এরা। গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি দুটোই তারা খেয়ে থাকেন।
আর্জেন্তিনা: এখানে চায়ের নাম ইরবা মাতে। এই ইরবা মাতে পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর ও সুগন্ধি চা। ভিটামিন সি ও বি১ সমৃদ্ধ এই চা কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।
ভারত: বাড়িতে কোনও অতিথিকে চা ছাড়া আপ্যায়নের কথা ভারতীয়রা ভাবতেই পারে না। দার্জিলিং, অসমের ব্ল্যাক টি সারা ভারতে প্রসিদ্ধ। আদা, গোলমরিচ, এলাচ দিয়ে ভারতীয়রা সুস্বাদু করে তোলে চা। কাশ্মীরে আবার প্রচলন কাওয়া খাওয়ার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ১৭০০ শতাব্দীতে ব্রিটিশদের আনুকূল্যে চা খাওয়ার রেওয়াজ শুরু হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে চা খাওয়ার রীতি ভিন্ন। জর্জিয়া বা আলবামার বাসিন্দারা চা বলতে শুধু আইসড টি বোঝে।
ব্রিটেন: ব্রিটিশদের কাছে চা একটা রাজকীয় ব্যাপার। দুধ ও চা ছাড়া তারা চা ভাবতে পারে না। ব্ল্যাক, গ্রিন ও ওলং টি তারা স্বাস্থ্যের কারণে খেয়ে থাকলেও, অতিথিদের নিমন্ত্রণ করে দুধ, চিনি সমৃদ্ধ চায়ের সঙ্গে হরেক স্ন্যাক্সে হাই টি পার্টিই তাদের ঐতিহ্য।
মরক্কো: মিন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি মরক্কোর বৈশিষ্ট্য। এই চা পেট ঠান্ডা রাখতে, হজমে সাহায্য করে। ফুটন্চ জলে মাত্র ২০-৩০ সেকেন্ড ফুটিয়েই স্পেশ্যাল চা তৈরি করে নেন মরক্কোর বাসিন্দারা।
রাশিয়া: প্রতি বছর রাশিয়া ৫০ কোটি মার্কিন ডলার চা আমদানি করে। সামোভারে ঢাকা কেটল থেকে গরম চা ঢেলে খাওয়া রাশিয়ার ঐতিহ্য। সাধারণত গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি তাদের প্রিয়। কড়া, কালো চা-কে রাশিয়ানরা জাভারিকা বলে থাকেন।
নিউজিল্যান্ড: এখানকার বিশেষ প্রজাতির চায়ের নাম মানুকা। মাত্র একটি টি প্লান্টেশন থাকলেও ১৯ শতক থেকে ব্রিটিশ প্রভাবে বাড়তে থাকে চা আমদানি। মূলত ভারত থেকেই চা আমদানি করতো তারা।
চিন: এই দেশ থেকেই প্রথম চায়ের প্রচলন শুরু হয়েছিল। দক্ষিণ চিনে পাহাড়ি এলাকায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। অঞ্চল ভিত্তিতে ব্ল্যাক টি, রেড টি চাষ হয় চিনে। ব্ল্যাক টি চিনে সতর্কতা বাড়ানো, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ব্যবহৃত হয়।