Fishes for Aquarium

৫ বিষয়: বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে নতুন ধরনের মাছ আনার আগে জেনে রাখা জরুরি

কোন মাছ কেমন আবহাওয়ায় থাকতে পারে, বড় হলে কতটা জায়গা প্রয়োজন কিংবা একাধিক প্রজাতির মাছ একসঙ্গে থাকতে পারে কি না, সে সব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তবেই অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য মাছ কেনা উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৪
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

অনেক বাড়িতেই প্রবেশপথ বা ঘরের এক কোণ আলো করে থাকে রঙিন মাছে ভরা অ্যাকোয়ারিয়াম। এই অ্যাকোয়ারিয়ামে নতুন নতুন প্রজাতির মাছ ছাড়া কারও কাছে শুধুমাত্র শখ, আবার কারও কাছে নেশা। যাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাঁরা অবশ্যই জানেন, মাছ দেখতে ভাল লাগলেই তা কিনে ফেলা যায় না। কোন মাছ কেমন আবহাওয়ায় থাকতে পারে, বড় হলে কতটা জায়গা প্রয়োজন কিংবা একাধিক প্রজাতির মাছ একসঙ্গে থাকতে পারে কি না, সে সব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তবেই মাছ কেনা উচিত। এ ছাড়াও, অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য মাছ কেনার আগে আরও কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।

Advertisement

১) কেমন প্রজাতির মাছ

বাড়িতে রাখার জন্য সাধারণত গোল্ড ফিশ, গাপ্পি, গোরামি, কিসিং ফিশ, জেব্রা বা অ্যা়ঞ্জেলের মতো মাছ বেছে নেন অনেকে। তবে ইদানীং মাছ কেনার ক্ষেত্রেও পছন্দে বদল এসেছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া যায় নানা ধরনের ‘ট্রপিকাল’ মাছ। সে সব কেনার প্রবণতা বেড়েছে। তবে কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে সব প্রজাতির মাছ সব রকম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না। সে অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে যতই ফিল্টার, এয়ার পাম্প বা হিটার থাকুক না কেন, মাছেদের সমস্যা হতে পারে।

Advertisement

২) খাবারের ধরন

সব মাছ এক ধরনের খাবার খায় না। এমনকি, এক এক ধরনের মাছ জলের এক এক স্তর থেকে খাদ্যবস্তু সংগ্রহ করে। কাজেই অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা মাছের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অবগত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার না পেলে যেমন মাছের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত খাবার তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

৩) শান্ত না রাগী

অন্যান্য পশুপ্রাণীদের মতো মাছেদেরও নিজস্ব এলাকা থাকে। বিশাল সমুদ্রের তলদেশে তারা নিজেদের জায়গা নির্বাচন করে আলাদা আলাদা জায়গায় থাকে। কিন্তু অ্যাকোয়ারিয়ামের মতো ছোট জায়গায় তা সম্ভব নয়। তাই স্বভাবে শান্ত প্রজাতির ‘গোল্ড ফিশ’-কে রাগী ‘ফাইটার’-এর সঙ্গে না রাখাই ভাল।

—প্রতীকী চিত্র।

৪) কী ধরনের জল প্রয়োজন

কল থেকে অ্যাকোয়ারিয়ামে জল ভরে, তার মধ্যে মাছ ছেড়ে দেওয়া যায় না। মাছ ছাড়ার আগে অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য আলাদা করে জলের ব্যবস্থা করতে হয়। জলের পিএইচের মাত্রা কেমন, তা যেমন মাথায় রাখতে হয়। তেমন জলে অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট কিংবা নাইট্রাইট জাতীয় যৌগগুলির মাত্রা কেমন, সে সব মেপে দেখে নেওয়া জরুরি। আবার সব প্রজাতির মাছ একই রকম জলে বাস করতে পারে না। একটি অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে তো প্রজাতি অনুযায়ী আলাদা করে জলের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই কোন প্রজাতির মাছ কেমন জলে থাকতে পারে, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

৫) সর্বাধিক কতগুলি মাছ রাখা যায়

অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার এবং আয়তন অনুযায়ী সর্বাধিক কতগুলি মাছ পাশাপাশি রাখা যায় তা জেনে রাখা প্রয়োজন। মাছের সংখ্যা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন