শীতে খাবার গরম রাখার কৌশল। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
শীতকালে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় রান্না করা খাবার। এ সময়ে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত, রুটি, তরকারি বা মাছ-মাংসের রসনাতৃপ্তি কি ঠান্ডা খাবারে মেলে? আর বার বার গরম করলে খাবারের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়। মাইক্রোঅয়েভ বলুন বা আগুনে, প্রতি বার খাবার গরম করলে রস আস্বাদনের সঙ্গে খানিক আপস করা হয় বটে। বিশেষ করে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় স্কুল, কলেজ, অফিসে টিফিন নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। অধিকাংশ অফিস বা বাড়িতে মাইক্রোঅয়েভ অভেনও থাকে না। তাই শীতে খাবার গরম রাখার কয়েকটি সহজ উপায় জেনে রাখা দরকার। অফিস এবং বাড়িতে যে পদ্ধতি সুবিধা, সেটিই অবলম্বন করে দেখতে পারেন। রইল খাবার গরম রাখার কয়েকটি টোটকা।
১. খাবার রাখার পাত্র আগে গরম করে নিন। একটি পাত্রে গরম জল ঢেলে কয়েক মিনিট রেখে দিন। এর পর জল ফেলে গরম খাবার সেই উষ্ণ পাত্রে ভরে দিন। এতে খাবার তাপ ধরে রাখবে অনেক ক্ষণ। টিফিন ভরার সময়েও গরম খাবার সরাসরি ঠান্ডা স্টিলের বাটিতে ভরবেন না। আগে গরম জল ঢেলে খানিক ক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর জল ফেলে সঙ্গে সঙ্গে খাবার পুরে নিন। এই পদ্ধতিতে খাবার তুলনায় অনেক ক্ষণ গরম থাকবে।
খাবার গরম রাখার কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
২. রান্না শেষ হতেই সঙ্গে সঙ্গে ঢেকে দিন খাবারটি। ঢাকনা আঁটসাঁট থাকলে বাষ্প বেরোতে পারে না, ফলে খাবার নিজের তাপেই গরম থাকে বেশ খানিক ক্ষণ, উপরন্তু শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয় না। রুটি-পরোটার ক্ষেত্রে নরম সুতির কাপড়ে জড়িয়ে হটপটে ভরে রেখে দিন সঙ্গে সঙ্গে।
৩. অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল খাবারের উত্তাপ ধরে রাখার জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়। অনেক দোকানেই এই পদ্ধতিতে খাবার গুছিয়ে দেওয়া হয়, যাতে দীর্ঘ ক্ষণ খাবার গরম থাকে। রুটি, পরোটা, রোল, কাটলেট, কবাবের ক্ষেত্রে এই টোটকা কার্যকরী হতে পারে। মনে রাখবেন, আঁটসাঁট করে মুড়িয়ে রাখতে হবে খাবারটি।
৪. বাইরে নিয়ে যেতে হলে ইনসুলেশন-যুক্ত ব্যাগ বা মোটা কাপড়ের মোড়ক ব্যবহার করতে পারেন। এতে বাইরের ঠান্ডা ভিতরে ঢুকতে পারে না, আর ভিতরের গরম বাষ্প বাইরে বেরোতে পারে না। ফলে খাবার অনেক ক্ষণ উষ্ণ থাকে।
এই কয়েকটি সহজ পন্থা মেনে চললে শীতে বার বার খাবার গরম করার ঝক্কি পোহাতে হয় না। শীতকালে খাবার যদি ঠান্ডা হয়ে যায়, তা হলে খাওয়ার আমেজই নষ্ট হয়ে যাবে। বাড়িতে খাবার টেবিলে বসে খাওয়া হোক বা রোজের টিফিন গোছানো, সব ক্ষেত্রেই এমন টোটকাগুলি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।