বহু গবেষণায় প্রমাণিত, দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষই ডান-হাতি। ফলে কোনও জায়গা থেকে বেরনোর সময় তাঁরা অবচেতন ভাবেই ডান পাশের দরজার দিকে এগোন। ফলে ভিড় এড়াতে বিমান থেকে নামার সময় বাঁ-দিকের দরজার দিকে এগিয়ে যান।
উড়ানের সময় অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় বা কফি এড়িয়ে চলুন। তার বদলে বার বার জল খান। অ্যলকোহল ও ক্যাফিন আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে যাত্রাপথ দীর্ঘ ক্ষণের মনে হয়। তা ছাড়া, বহু ক্ষণ বিমানের ভিতরের এয়ার কন্ডিশনে থাকায় তা আপনার স্কিনের ক্ষতি করে। বরং বার বার জল খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
বহু বিমানেই বিজনেস বা ফার্স্ট ক্লাসে শেষ মুহূর্তে অনেক অফার দেয়। এয়ারপোর্টে গিয়ে প্রথমেই আপনার এয়ারলাইন্স ডেস্কে তা নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে রাখুন।
দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি এড়াতে বিমানেই খানিকটা ঘুমিয়ে নিন। অনেকেই বিমানে উঠে গান শুনে বা সিনেমা দেখে সময় কাটান। তার বদলে ইয়ারপ্লাগ গুঁজে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে নিন। এতে একঘেয়েমি কেটে যাবে।
বিমান যাত্রার সময় প্রয়োজনীয় সমস্ত টুকিটাকি জিনিস নিজের সঙ্গে রাখুন। একটা ট্র্যাভেল ব্যাগে ভরে নিন মোজা, ফেসিয়াল ফোম বা স্লিপারস। এমনকী, চাইলে একটা ব্ল্যাঙ্কেটও সঙ্গে রাখতে পারেন। এয়ারলাইন্সের ব্ল্যাঙ্কেট জড়িয়ে ঘুম না এলে তা কাজে আসবে।
বিমানযাত্রার সময় পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দেখে নিন, তা পুরোপুরি চার্জ দেওয়া আছে কি না। বিমানে উঠে মোবাইল গেমস খেলা বা ল্যাপটপে অফিসের কাজকর্ম সেরে ফেলার প্ল্যান করলে পাওয়ার ব্যাঙ্কও খুবই কাজে আসবে।
জানলার ধারের সিট তো সকলের ভাগ্যে জোটে না। মাঝের সিট পেয়ে বহু যাত্রীরই মুখ ভার হয়ে যায়। মন খারাপ করবেন না! বরং, রিল্যাক্স করুন। ভেবে দেখুন, মাঝের সিটে বসলে প্লেনের ঝাঁকুনি বা খারাপ আবহাওয়ার ছবি দেখতে হবে না।
বিমানসেবিকাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। বরং তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। মনে রাখবেন, বিমানসেবিকারা আপনার জন্যই হাসিমুখে সার্ভিস দেন। তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে সফরের আনন্দ মাটি করবেন না।