সেদ্ধ ডিম কত দিন টাটকা থাকে? ছবি: সংগৃহীত।
খাটনি এবং জ্বালানি বাঁচানোর জন্য অনেকেই একেবারে অনেকগুলি করে ডিম সেদ্ধ করে রাখেন। প্রতি দিন প্রাতরাশে ডিম সেদ্ধ খাওয়ার সময়ে যাতে বার বার সেদ্ধ করার ঝক্কি পোহাতে হয় না তার জন্যই এমনটা করা। সেদ্ধ ডিম পুষ্টিকর এবং জলখাবারের জন্য উপযোগী। তবে ঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে পচে যেতে পারে। প্রশ্ন জাগে, সেদ্ধ ডিম বানানোর পর কত দিন পর্যন্ত তা খাওয়া নিরাপদ? কী ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত?
কত দিন পর্যন্ত রাখা যায়
আমেরিকার কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ফোটানো হলে ডিম শক্ত ভাবে সেদ্ধ হয়। সেই ডিমগুলি ফ্রিজে রাখা হলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত তা নিরাপদ। তা খোসা থাকুক, না থাকুক। কেবল সঠিক ভাবে ঠান্ডা রাখতে হবে। কারণ সেদ্ধ করার ফলে ডিমের উপরের একটি আস্তরণ সরে যায়, যা কাঁচা অবস্থায় ডিমকে সুরক্ষা প্রদান করে। তাই দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে রাখলে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নিতে পারে।
ফ্রিজে কী ভাবে ডিম মজুত রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
খোসা-সহ না কি খোসা ছাড়া?
খোসা-সহ ডিমের মেয়াদ তুলনামূলক ভাবে খানিক বেশি। কারণ খোসা ডিমকে গন্ধ এবং দূষণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু যদি খোসা ছাড়িয়ে ডিম রাখতে হয়, তা হলে বায়ুনিরোধী পাত্রে রাখতে হবে। হালকা সিক্ত কাগজের তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যাতে শুষ্কতার কবলে না পড়ে।
সেদ্ধ ডিম সংরক্ষণের নিয়ম
আমেরিকার কৃষি বিভাগের মতে, সেদ্ধ করার দু’ঘণ্টার মধ্যে ডিম ফ্রিজে তুলে রাখতে হবে। ফ্রিজের যে কোনও তাকের পিছন দিকে রাখা উচিত, যাতে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে থাকে সর্ব ক্ষণ। বায়ুনিরোধক পাত্রে রাখলে ডিমের স্বাদ বা গন্ধ অন্য খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। তা হলে ফ্রিজ়ার বা ডিপ ফ্রিজে রাখা সুপারিশ করা হয় না। প্রবল ঠান্ডায় কুসুম জমে যাবে, বরফ ছাড়ানোর পর টাটকা স্বাদ আর পাওয়া যাবে না।
কখন ডিম ফেলে দেওয়া উচিত
ডিম থেকে যদি প্রবল দুর্গন্ধ বেরোয়, সাদা অংশ বা কুসুমের রং বা গঠন যদি পাল্টে যায়, তখন সে ডিম আর খাওয়ার যোগ্য নয়।