প্রতিদিনের ডাল, ভাত দেখেও খেতে ইচ্ছা হবে সাগ্রহে? কোন কৌশলে তা সম্ভব? ছবি:ফ্রিপিক।
রান্না যতই ত়রিবত করে করা হোক না কেন ডাল, ভাত, মাছ, রুটি, তরকারি দেখলেই মনে হয়, সেই তো একঘেয়ে। খেতে বসে পাতে এমন খাবার দেখলেই, ফেলে-ছড়িয়ে উঠে যায় ছোটদের অনেকেই। এমন সমস্যার সমাধান দরকার?
তা হলে বদল আনতে হবে পরিবেশনের ধরনে। হিন্দিতে প্রবাদ আছে, ‘পহলে দর্শনধারী, পিছে গুণবিচারি।’ যার অর্থ প্রথমে দেখা, তারপর গুণের বিচার। খাবার যদি দেখতেই ভাল না লাগে, মুখে তুলতেই ইচ্ছা না হয়, তা হলে আর স্বাদ বোঝার ইচ্ছা হবে কী করে? সহজ কয়েয়কটি কৌশল প্রয়োগ করে দেখতে পারেন বাড়ির পরিবেশ বদলায় কি?
থালা: নিত্যব্যবহার্য স্টিলের থালায় খেতে ক্লান্তি আসতেই পারে। বদলে যদি কাচ বা বোন চায়না কিংবা সুদৃশ্য থালা ব্যবহার করা যায় তা হলে খেতে বসার বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে। ছোটদের জন্য কার্টুন চরিত্রের মুখ আঁকা, খোপ কাটা থালারও ব্যবস্থা করতে পারেন।
খাবার পরিবেশন করুন কৌশলে: থালা সাজানোর উপরেও খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়। ঠিক সে কারণেই রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশনে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাত হোক বা রুটি, মাথা খাটিয়ে বার করতে হবে, কী ভাবে দিলে দেখতে ভাল লাগে। ভাত বাটির মধ্যে ভরে রাখতে পারেন। থালায় সেটি উপুড় করে দিলে, সুন্দর আকৃতি তৈরি হবে। তার উপর ঘন ডাল হাতা দিয়ে ঢেলে দিতে পারেন। উপর থেকে যোগ করতে পারেন ডালের সঙ্গে ভাল লাগবে এমন কোনও ফোড়ন। আবার খুদেকে খাওয়াতে হলে, রুটির বিশেষ অংশ কেটে দু’টি চোখ, ঠোঁটের কাছে হাসির ঝলক তৈরি করা যেতে পারে। গাজর, ক্যাপসিকাম দিয়ে নকশাও করতে পারেন। রুটির উপর মাখনের ছোট্ট অর্ধেক গলা টুকরো দিতে পারেন। সুন্দর গন্ধ খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেবে।
দই বা চাটনি: টক দই হোক বা চাটনি হয় পাতের একপাশে নয়তো ছোট বাটিতে দেন? সেটা যদি সুন্দর ছোট কোনও প্লেটে ঢেলে চামচের পিছনের অংশ দিয়ে গোল করে ঘুরিয়ে নকশা করে দেওয়া যায় ভোল পাল্টে যাবে। আবার দইয়ের উপরে বেদানা, জিরেগুঁড়ো ছড়িয়ে দিলে শুধু স্বাদ বাড়বে না, খেতেও ভাল লাগবে।