boss

বস কি আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করেন না? বুঝে নিন এই ভাবে

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৯
Share:

ব্যক্তিগত অপছন্দের তালিকায় থাকলেও কিছু বস খারাপ ব্যবহার করে বসেন। ছবি: শাটারস্টক।

অফিসের বস অধস্তনদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হলে তবেই কাজের সেরাটুকু পায় সংস্থা। এ কথা যেমন সত্যি, তেমনই কর্মক্ষেত্রে বসের সঙ্গে তেমন ভাল বোঝাপড়া না থাকলে কাজের পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে ওঠে। চাকরি জীবনের এই চাপ ধেয়ে আসে ব্যক্তিগত জীবনেও।

Advertisement

অনেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজের সেরাটুকু দেন, চেষ্টা করেন ভাল করে কাজও করতে। তবু কোথাও বসকে খুশি করতে অক্ষম হন তাঁরা। বেশ কিছু বেসরকারি অফিসে ভাল কাজ করেও বছর শেষের বেতনবৃদ্ধি বা পদোন্নতিতে কোপ পড়ে। অথচ, তুলনামূলক অদক্ষ কর্মী স্রেফ বসের সঙ্গে ভাল বোঝাপড়া থাকার দরুন উন্নতির শিখরে ওঠেন, এমন অভিযোগও নতুন নয়।

আপনার সঙ্গেও কি তেমন ঘটনাই ঘটে? বসের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য বা সমস্যায় দরকারি পরামর্শ পাওয়ার কোনও সুযোগই নেই, উল্টে কোনও সমস্যা নিয়ে গেলেই তা থেকে নানা তর্কের শিকার বা হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়? এ কি কেবল আপনারই কোনও সমস্যা নাকি আসলে বস ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করেন না আপনাকে? এক জন মানুষের মন বুঝতে পারা যায় তাঁর কিছু ব্যবহার থেকেই। আপনার প্রতি বসের মানসিকতাও বুঝে যান এ ভাবেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুখ মনে পড়ছে, কিন্তু নামটা... কেন এমন হয় জানেন?

প্রায়ই কোনও কাজের কথা বলতে গিয়ে আপনি দীর্ঘ ক্ষণ কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন আর বস যেন দেখেও দেখেন না আপনাকে। আর এ ভাবেই নিজের টেবিলে কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। কিংবা ঘন ঘনই ব্যস্ততার কথা বলে ফিরিয়ে দেন। এমনকি মিটিং চলাকালীন আপনার দেওয়া কোনও সঙ্গত প্রস্তাবকেও তুলনায় খাটো করে দেখেন বা গুরুত্ব দেন না। এমন হলে তিনি কেবল কাজের ব্যস্ততার কারণেই এমনটা করেন বলে ভাববেন না। আপনাকে অপছন্দ করাও এর অন্যতম কারণ হতে পারে। ছুটিছাটার ক্ষেত্রে সকলে কমবেশি শিথিলতা পেলেও আপনার বেলায় কি সে সব নিয়ম খুবই কড়া? এমন বৈষম্য হলে জানবেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবেই পছন্দ করেন না আপনাকে। আর তারই কারণে এ সব ঘটে।​​

আরও পড়ুন: স্ত্রীর জন্মদিন ভুললেই ডিভোর্স! দাম্পত্যের এই সব নিয়ম জানলে বিয়ের আগে দু’বার ভাববেন আপনিও

নেতিবাচক শরীরী ভাষায় কথা বলেন বস? সচেতন হোন।

কোনও কথা বলার সময় প্রায়ই নেতিবাচক শরীরী ভাষায় কথা বলেন তিনি, যে কোনও ভাবেই দরকারে যুক্তিহীনের মতোই স্রেফ পদাধীকারবলে অপমান করার প্রবণতা যদি দেখতে পান তাঁর মধ্যে, তবে সচেতন হোন। প্রয়োজনে অফিসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ব্যক্তিগত জীবন বা পারিবারিক কোনও দুঃসংবাদ কাটিয়ে অফিসে যোগ দেওয়ার পর তিনি যদি এক বারও সে বিষয়ে খোঁজখবর না করেন, তবে জানবেন, কেবল ব্যস্ততা বা কাজের চাপই এই ভুলে যাওয়ার নেপথ্য কারণ নয়। বসের মনের তালিকাতেও আপনি আসলে ব্ল্যাকলিস্টেড!

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন