ঝাল খেলে তাড়াতাড়ি বড় হওয়া যায়। ছোটবেলায় এ কথাটা শুনেছেন নিশ্চয়ই?
বড় হয়ে সেই স্পাইসি খাবারই হয়ে ওঠে আমাদের প্রিয়। আর তখন শুনতে হয় বেশি ঝাল খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ। ঝাল খেলে পেটে ব্যথা হয়, স্পাইসি খাবার শরীরের ক্ষতি করে। তবে যদি আপনি ঝাল, স্পাইসি খাবার খেতে ভালবাসেন তা হলে এ বার খুশি হতে পারেন। কারণ নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সুস্থ থাকতে ঝাল খাওয়া উচিত।
গবেষকদের মতে নিয়মিত ডায়েটে লঙ্কা থাকলে তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হার্টের অসুখ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের গবেষক মুস্তাফা শোপান জানান, ক্যাপসিকাম বা লাল লঙ্কার মতো ঝাঁঝাঁলো খাবার ট্রান্সিয়েন্ট রিসেপটর পোটেনশিয়াল চ্যানেল শোষিত হয়। শরীরের কোষ ও আনবিক কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন ধরে রাখা, রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ক্যাসিকাম। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ থাকার কারণে ইনফেকশন রুখতেও সাহায্য করে লঙ্কা।
বহু দিন ধরেই লঙ্কা ও মশলা বিভিন্ন অসুখে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই গবেষণার জন্য ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশনাল এক্সামিনেশনের গবেষকরা টানা ২৩ বছর ধরে ১৬,০০০ জন মার্কিনির উপর গবেষণা চালান। দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ঝাল খান তাদের রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। অন্য দিকে, জার্নাল অব বায়োকেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় লঙ্কায় যা এমনই এক উপাদান যা শরীরে বিশেষ এক উত্সেচক উত্পাদনে বাধা দেয়। অধিকাংশ ম্যালিগন্যান্ট টিউমৈরে বিপুল পরিমাণে এই উত্সেচকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
পিএলওএস ওয়ান জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৮ মশলা