রান্নাঘরের কাজ সহজ করতে কী করতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
হেঁশেল সামলাতে অভিজ্ঞেরাই হিমশিম খেয়ে যান, সেই জায়গায় অনভিজ্ঞ হলে তো কথাই নেই। কিন্তু রান্নাঘরের সব কাজ তো শুরুতেই কেউ শিখে ফেলতে পারেন না! কাজ করতে করতেই শেখা যায়। আর এই সময়েই কাজে আসতে পারে কয়েকটি কৌশল।
মশলা: রকমারি রান্নায় রকমারি মশলা লাগে। শুরুতে ফোড়নে লাগে এক রকম, রান্নায় সময় দরকার হয় আদা-রসুন বাটা। আবার রান্নার শেষধাপে ভাজা মশলারও ব্যবহার হয়। তাড়াহুড়োর সময় মশলার জোগান যাতে হাতের কাছে থাকে, সেই ব্যবস্থা করে রাখুন। গোটা গরমমশলা হেঁশেলের এক জায়গায় কৌটো করে সাজিয়ে রাখলে সুবিধা হবে। ভাজা মশলা সময়মতো একসঙ্গে অনেকটা বানিয়ে বায়ুনিরোধী কৌটোয় ভরে রাখুন। আদা-রসুন বাটা বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যায় বটে, তবে এতে প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক থাকতে পারে। তার চেয়ে ছুটির দিনে আদা এবং রসুন বেশি করে বেটে আলাদা বায়ুনিরোধক কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রাখলে এক সপ্তাহ ভাল ভাবে চলে যাবে।
তেল, ঘি, মাখন: এক এক রান্নায় এক এক রকম তেল লাগে। স্যালাড খেতে হলে অলিভ অয়েল দরকার। আবার চাউমিন সাদা তেলেই ভাল হবে। কিন্তু কষা মাংস বা চিংড়ির মালাইকারির স্বাদ আনতে দরকার সর্ষের তেল। আমিষ রান্না হোক বা নিরামিষ— একটু ঘি দিলেই খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বৃদ্ধি পায়। রকমারি তেল আলাদা শিশিতে নাম লিখে রেখে দিলে, ঘি-মাখন হাতের কাছে মজুত থাকলে রান্নার কাজে অনেকটাই সুবিধা হবে।
বৈদ্যুতিক চপার: শিলে বাটার ঝামলো এড়াতে মিক্সার এখন ঘরে ঘরে। তবে কাজ সহজ করে দিতে পারে বৈদ্যুতিক চপার। সব রান্নায় বাটা জিনিস চলে না। তা ছাড়া সব্জি ছোট করে টুকরো বড্ড সময় এবং ধৈর্য সাপেক্ষ। ভাল হয় হাতের কাছে বৈদ্যুতিক চপার থাকলে।
কৌশল: রান্নার কৌশল জানা থাকলে কমে যেতে পারে কাজ। যেমন পেঁয়াজ ভাজার সময় একটু চিনি দিলে তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। তেমন ভাবে দ্রুত রান্না করা মানে মশলা কষিয়ে জল দিয়ে জোরে ফোটানো নয়। বরং আঁচ কমিয়েও অন্য কাজ করা যায়। মাংস থেকে তরকারি, মশলা কষিয়ে নেওয়ার পরে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে হেঁশেলের অন্য কাজ করা যায়। আবার দুধ গরম করতে দিয়ে অন্য কাজ করছেন, চোখের নিমেষে দুধ উথলে যেতে পারে। দুধের পাত্রের খুন্তি দিয়ে রাখলে দুধ কিন্তু চট করে উপচে পড়বে না। হেঁশেলের ছোটখাটো কৌশল জানা থাকলে কাজ সহজ হয়ে যেতে পারে।