প্রতীকী ছবি।
উত্কণ্ঠা ও অবসাদ। এই দুই মানসিক সমস্যায় প্রায় সব মানুষই জীবনের কোনও না কোনও সময়ে ভোগেন। কখনও নিজেদের সমস্যা মুখ ফুটে বলে উঠতে পারি না আমরা, কখনও বা প্রিয়জন অবসাদের গভীরে ডুবে কষ্ট পেলে তা বুঝে উঠতে পারি না।
যারা অবসাদে ভুগছেন তাদের অ্যাংজাইটি ডিসট্রেস হতে পারে। আবার যারা উত্কণ্ঠায় ভুগছেন তারাও অবসাদ অনুভব করতে পারেন। অধিকাংশ সময়ই আমরা এই দুই সমস্যার পার্থক্য বুঝে উঠতে পারি না। এই দুই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
অবসাদ
অবসাদ খুবই গুরুতর সমস্যা। দীর্ঘকাল অবসাদে ভুগলে মানুষ দুঃখী হয়ে পড়ে, যে কোনও কাজে উত্সাহ হারায়, নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: মিশতে হবে বন্ধুর মতো
অবসাদের লক্ষণ
মনসংযোগের সমস্যা, অনিদ্রা অথবা সারা দিন ঘুম পাওয়া, এনার্জির অভাব, ডিপ্রেসড মুড, খিদে না পাওয়া, অপরাধ বোধ, নিজেকে অযোগ্য মনে করা, আত্মহত্যার চিন্তা বা প্রবণতা।
আরও পড়ুন: বড় দুষ্কর্মে বারবার নাবালক, বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা
এই লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্তত ৫টা টানা ২ সপ্তাহ ধরে দেখা গেলে চিকিত্সকরা বলে থাকেন কেউ অবসাদে ভুগছেন। এর সঙ্গেই ম্যানিয়ার লক্ষণ দেখা গেলে প্রি-মেন্সট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজইর্ডার, ডিপ্রেসিভ বা বাইপোলার ডিজঅর্ডার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
উত্কণ্ঠা বা অ্যাংজাইটি
দ্য আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, উত্কণ্ঠা এমন এক অনুভূতি বা আবেগ যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে উদ্বেগ, চিন্তা। এই অনুভতিতে শরীরের রক্তচাপ ওঠানামা করে।
‘এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন’
উত্কণ্ঠার লক্ষণ
পেশীতে টান ধরা, অতিরিক্ত চিন্তা, অস্থিরতা, ক্লান্তি, বিরক্তি, ঘুমে ব্যাঘাত। এই ধরনের সমস্যাগুলো যদি একটানা ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে তা হলে তা অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।