মানসিক ক্লান্তি দূর করতে তেজপাতা অব্যর্থ। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
সেই কবে সুকুমার রায় লিখে গিয়েছেন, ‘তেজপাতে তেজ কেন, ঝাল কেন লঙ্কায়…?’ তবে তেজপাতার তেজের মাহাত্ম্য কেবল কবিতায় আটকে আছে ভাবলে ভুল করবেন কিন্তু।
বরং রোজনামচায় তেজপাতার তেজ কী কী কাজে আসে জানলে চমকে যেতে পারেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, তেজ পাতার গুণ এমনই যা অনেক অসুখের সঙ্গেও লড়তে সাহায্য করে আমাদের। এ ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে তেজ পাতার উপকার অনেকটাই।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অন্তত সে কথাই বলছে। সেই অনুসারে প্রতি দিন ১-৩ গ্রাম তেজপাতার ধোঁয়া যদি শরীরে প্রবেশ করলে তার এলিমেসিন ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিকদের জন্য তা অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক হতে পারে! আগাম বুঝবেন কী ভাবে?
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের হাত থেকে কী ভাবে বাঁচবেন, জানেন?
তেজপাতার শারীরিক উপকার প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্ত জানান, এই বিষয় মূলত আয়ুর্বেদের মধ্যে পড়লেও সব রকম চিকিৎসকরাই তেজপাতার উপকার সম্পর্কে অবহিত। তেজপাতায় আছে বেশ কিছু জীবাণুনাশক উপাদান— যা বাতাসে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়াদের মারে। তেজপাতা পোড়ানোর পাশাপাশি রান্নায় দিলেও একই উপকার মেলে।
তেজপাতায় থাকা পিনাইন, সিনেওল ও এলিমেসিন মানসিক ক্লান্তি দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সিনেওল ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমিয়ে ফুসফুসকে তাজা রাখে। তেজ পাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের ক্ষত ও প্রদাহ কমায়। এর ইগুয়েনাল যে কোনও রকমের যন্ত্রণা কমাতেও কার্যকরী। প্রতি দিনের রান্নায় তেজ পাতার ব্যবহারও একই উপকার করে। তেজ পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরের ক্ষত ও প্রদাহ কমায়। তেজ পাতার এলিমিসিন মনঃসংযোগ বাড়ায়। মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
অনেকেরই ধোঁয়ায় সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন রান্নায় ব্যবহার করুন এই পাতা।