Dalim: ডালিমের জাদু

ফলের রঙের জন্য নয়, আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে বলে বলা হয়ে থাকে এমনটা। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর বেদানার পুষ্টিগুণের শেষ নেই।

Advertisement

সায়নী ঘটক

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৪০
Share:

হাসপাতাল থেকে রোগী বাড়ি ফিরলে তার জন্য অবধারিত ভাবে রাখা থাকে যে ফলটি, তা হল বেদানা। অর্থাৎ, দুর্বলতা কাটিয়ে অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তোলায় জুড়ি নেই এই ফলের। আবার ছোটবেলায় মা-ঠাকুমা বলতেন, বেদানা খেলে গায়ে রক্ত হয়। ফলের রঙের জন্য নয়, আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে বলে বলা হয়ে থাকে এমনটা। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর বেদানার পুষ্টিগুণের শেষ নেই।

Advertisement

গুণাগুণ

ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার— এই ক’টি উপাদান অন্য ফলের তুলনায় বেশি থাকে বেদানায়। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও থাকে। এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়াম শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ভাল রাখতে সহায়তা করে। মানসিক চাপ কাটাতে, রাতে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্যও উপকারী এই ফল। ভিটামিন সি থাকে বলে ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে এই ফল। এ ছাড়াও থাকে ভিটামিন কে, বি। আয়রন বেশি থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের ডায়েটে যে কারণে আবশ্যিক বেদানা। পলিফেনল থাকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবেও কাজ করে এটি।

Advertisement

অ্যাঞ্জিয়োটেনসিন কনভার্টিং এনজ়াইম (এসিই) থাকে বেদানায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে হার্টের সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের জন্যও উপকারী এই ফল।

দানা বাদ নয়

অনেকেই বেদানা চিবিয়ে খেলে রসটা খাওয়ার পরে ছিবড়েটা ফেলে দেন। আবার অনেকে জুস করে খান, সেখানেও বাদ চলে যায় দানার অংশটি। এর ফলে বেদানার ফাইবার কনটেন্ট বাদ চলে যায় বেশির ভাগটাই। পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায়চৌধুরীর পরামর্শ, বেদানা খেতে হবে গোটা, রস করে ছিবড়ে বাদ দিয়ে নয়। ‘‘উপরের খোসা ও ভিতরের সাদা আবরণটুকু ছাড়ানোর পরে দানাসমেত চিবিয়ে খেতে হবে বেদানা। তবেই ফাইবার যাবে শরীরে,’’ বললেন তিনি।

মেপে খান

বেদানার পুষ্টিগুণ এতটাই, প্রায় সব ধরনের পথ্যেই এই ফল রাখা চলে। তবে এতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের বেদানা না খাওয়াই ভাল। অনেক সময়ে সুগার কনটেন্ট বেশি থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদেরও বেদানা খেতে বারণ করা হয়। যদিও এই ফলের গ্লাইসেমিক লোড তেমন বেশি নয়। তাই ডায়াটিশিয়ান সুবর্ণা রায়চৌধুরীর পরামর্শ, ডায়াবেটিক রোগীদের খুব অল্প পরিমাণে, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় বেদানা খাওয়া চলতে পারে।

বেদানা এবং ডালিম প্রজাতিগত ভাবে একটু আলাদা। তবে তাতে বিশেষ ফারাক হয় না পুষ্টিগুণের। তাই রোজ না হলেও, সাপ্তাহিক ডায়েটে রাখা ভাল এই ফল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement