হাঁটুর যন্ত্রণা বাড়তে থাকলে তা কখনও কখনও মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। যাঁরা ক্রনিক হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন তাঁরা জানেন প্রতি দিনের কাজকর্মে এই হাঁটুর ব্যথা কতটা বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাঁটুর ব্যথার সমস্যা নিয়ে কিছু রোগী চিকিত্সকদের কাছে গেলেও এই সমস্যায় ভোগা বেশির ভাগ মানুষই ভরসা রাখেন অনলাইন চিকিত্সার উপর।
অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, নি অস্টিওআর্থাইটিসের কারণে ক্রনিক হাঁটু ব্যথার সমস্যা হয়। যার ফলে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, শারীরিক অক্ষমতার মতো উপসর্গগুলো দেখা দিতে শুরু করে। বয়স বাড়া, ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস বা বিভিন্ন রোগের প্রকোপ অস্টিওআর্থাইটিসের প্রধান কারণ। এর কোনও চিকিত্সা নেই। কিছু ঘরোয়া এক্সারসাইজ ও ব্যথার সঙ্গে মোকাবিলা করার কগনিটিভ বিহেভিয়ারিয়াল স্কিলের সাহায্যে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। কিছু ইন্টারনেট-ডেলিভার্ড ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে এই ধরনের চিকিত্সার সাহায্য নিতে পারেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে কী কী উপকার হয় জানেন?
ইন্টারনেট বেসড এই ধরনের ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রামের জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এর জন্য যুক্ত হতে হয় কোনও ইন্টারভেনশন বা কন্ট্রোল গ্রুপের সঙ্গে। যারা বিভিন্ন ফিজিক্যাল থেরাপিস্টদের সঙ্গে স্কাইপ সেশনের আয়োজন করেন। একেকটি প্রোগ্রাম চলে তিন মাস পর্যন্ত। কিছু অনলাইন এডুকেশনাল মেটিরিয়ালও দেওয়া হয়। চিকিত্সার শুরুতে, তিন মাস পর ও নয় মাস পর গবেষকরা সদস্যদের স্ক্রিনিং করেন।