প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ছোটরাও সংবেদনশীল হতে পারে। বড় হওয়ার সঙ্গে তাদেরও মনে দুঃখ জমতে পারে। প্রিয়জনের প্রয়াণ, স্কুল পরিবর্তন, বাড়ির ঠিকানা পরিবর্তন বা পোষ্যের মৃত্যুর ফলেও সন্তান দুঃখ পেতে পারে। কিন্তু অনেক সময়েই কঠিন সময়ে তাদের কী ভাবে সান্ত্বনা দেওয়া উচিত, তা বাবা মায়েরা বুঝতে পারেন না। এ রকম পরিস্থিতিতে কয়েকটি পদক্ষেপে ছোটদের মন ভাল হতে পারে।
১) প্রশ্নে আপত্তি নয়: মনখারাপ হলে ছোটদের প্রশ্ন করতে দেওয়া উচিত। কারণ সেই প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে তাদের মন হালকা হতে পারে। অভিভাবকদের উচিত, যথাসম্ভব খোলা মনে সন্তানের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। কখনও কখনও তার মাধ্যমে দুঃখের আসল কারণ জানা সম্ভব।
২) স্মৃতিটুকু থাক: সন্তান যদি কারও মৃত্যুকে মেনে নিতে না পারে, তা হলে তাকে তা বোঝানো উচিত। সেই ব্যক্তির জীবন নিয়ে কথা বলা তাঁর ছবি দেখানোর মাধ্যমে সন্তানকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনা উচিত। সন্তানকে বোঝানো উচিত, স্মৃতির মাধ্যমেই কাছের মানুষটি সকলের মধ্যে রয়ে গিয়েছেন।
৩) পরিবার ও বন্ধুরা: সন্তান বিষণ্ণ হয়ে পড়লে পরিবারে এবং বন্ধুরাই তার মন ভাল করতে পারে। তাই সকলের মিলে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। অনেক সময়ে এ রকম পরিস্থিতি ছোটদের কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলে তাদের মন ভাল হতে পারে।
৪) মাথা ঠান্ডা: অনেক সময় দুঃখ গভীর হলে সন্তানের মনের মধ্যে ক্রোধের জন্ম হতে পারে। তখন তার আচরণের কারণ বাবা-মাকে বুঝতে হবে। মাথাগরম করলে সমস্যা অন্য দিকে বাঁক নিতে পারে। তাই সময় সময়ে এ রকম পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের ঠান্ডা মাথায় পদক্ষেপ করা উচিত।
৫) মনোবিদ: সমস্যা জটিল হলে পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে কোনও মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে।