Pet Care in Winter

শীতে গরম জামা পরান পোষ্যকেও! আদরের কুকুরকে আরামে রাখতে হলে ৫টি বিষয় খেয়াল রাখুন

শুধু শোয়ার জায়গাটিকেই গরম চাদর বা কম্বল দিয়ে গরম করলে চলবে না। শীতে আদরের চারপেয়েকে আরামে রাখার জন্য আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:২৩
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

শীতে আপনার যেমন বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়, তেমনই বিশেষ যত্ন দরকার পোষ্যেরও। ওদেরও গরম জামা লাগতে পারে। ওদেরও দরকার হতে পারে ত্বককে আর্দ্র রাখার ক্রিম-লোশন বা বিশেষ ধরনের বাম। শুধু শোয়ার জায়গাটিকেই গরম চাদর বা কম্বল দিয়ে গরম করলে চলবে না। শীতে আদরের চারপেয়েকে আরামে রাখার জন্য আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।

Advertisement

১. উষ্ণ এবং আরামদায়ক থাকার জায়গা:

কুকুরকে কখনোই ঠান্ডা মেঝেতে বা খোলা জায়গায় শুতে দেবেন না। তার বিছানাটি ঘরের উষ্ণ জায়গায় রাখুন এবং সেটিকে মোটা কম্বল বা নরম মাদুর দিয়ে উষ্ণ করুন। বয়স্ক বা ছোট কুকুরের জন্য বিশেষ উষ্ণ বিছানা বা হিটিং প্যাডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রাতে এবং ভোরবেলায় কুকুরকে ঘরের ভেতরে রাখুন।

Advertisement

২. পর্যাপ্ত পোশাক পরান

যেসব কুকুরের লোম পাতলা বা ছোট, তাদের জন্য শীতে সোয়েটার বা জ্যাকেট আবশ্যক। বিশেষ করে যখন বাইরে হাঁটতে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন অবশ্যই কুকুরকে প্রয়োজনমতো গরম পোশাক পরান। ওই পোশাক এমন হওয়া উচিত, যা কুকুরের পেট থেকে গলা পর্যন্ত দীর্ঘ হবে এবং বুক ও পিঠ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে।

৩. পায়ের যত্ন:

শীতে রাস্তায় ধুলো থাকে বেশি। সেই ধুলো ময়লা কুকুরের পায়ে লাগলে সমস্যা হতে পারে। থাবায় জ্বালা করতে পারে। বাইরে থেকে আসার পর অবশ্যই হালকা গরম জল দিয়ে পা মুছে বা ধুয়ে দিন। পা ফাটা বা শুষ্কতা এড়াতে থাবার জন্য তৈরি ‘প বাম’ ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডায় রাস্তায় হাঁটালে পায়ে মোজা বা পোষ্যদের জন্য তৈরি বিশেষ জুতোও পরাতে পারেন।

৪. জল এবং আর্দ্রতা:

শীতে পোষ্য পর্যাপ্ত জল খাচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন। শীতে আপনার মতোই ওদেরও জলের প্রয়োজন হয়। তা না হলে ওদেরও চামড়ায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে যদি দেখেন ওদের চামড়ায় খসখসে ভাব দেখা যাচ্ছে তবে, নারকেল তেল বা পশু চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে আর্দ্রতা বজায় রাখার কোনও লোশন ব্যবহার করতে পারেন। পোষ্য কুকুর লোমশ প্রকৃতির হলে নিয়মিত গায়ে ব্রাশ করাও জরুরি।

৫. হাঁটার সময়

খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় বা রাতে, যখন কুয়াশা থাকে কিংবা তাপমাত্রা অনেক কম থাকে, তখন কুকুরকে হাঁটতে না নিয়ে যাওয়াই ভাল। বদলে দিনের বেলায় যখন রোদ থাকে বা বিকেলের দিকে হাঁটানো গেলে ভাৈল হয়। ওদেরও ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন হয়। সূর্যের আলো সেই ভিটামিন ডি জোগাতে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় উষ্ণতা দিতে সাহায্য করবে। তবে ঠান্ডা লাগা, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো কোনো সমস্যা দেখলে দ্রুত পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement