Dia Mirza Parenting Tips

সৎকন্যার ফোন আসক্তিতে চিন্তিত দিয়া! ১৬-র কিশোরীর অভ্যাসকে ‘কোকেনের নেশা’ বলছেন অভিনেত্রী

চার বছরের ছেলে আব্যান এখনও স্মার্টফোন হাতে পায়নি। কিন্তু নিজের সন্তানের চেয়েও সৎকন্যাকে নিয়ে বেশি ভাবিত দিয়া। কারণ সামায়রার বয়স এখন ১৬ বছর। সে এখন পুরোপুরি স্মার্টফোনের কব্জায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ১০:০৪
Share:

সৎকন্যার ফোনের আসক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

অধিকাংশ নতুন প্রজন্মের বাবা-মায়ের মূল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। তা সে ৫ বছরের শিশু হোক ১০ বছরের কিশোর-কিশোরী অথবা ১৬ বছরের তরুণী। ফোনের উপর ছোটদের নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। সমাজমাধ্যম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভিডিয়ো গেম, এমনকি পড়াশোনা, সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু স্মার্টফোনের প্রভাব আশঙ্কা ও আতঙ্ক তৈরি করছে বাবা-মায়েদের মনে। আর পাঁচজন সাধারণ মায়ের মতোই দুশ্চিন্তায় আছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জ়া।

Advertisement

চার বছরের ছেলে আব্যান এখনও স্মার্টফোন হাতে পায়নি। কিন্তু নিজের সন্তানের চেয়েও সৎকন্যাকে নিয়ে বেশি ভাবিত দিয়া। কারণ, সামায়রার বয়স এখন ১৬ বছর। সে এখন পুরোপুরি স্মার্টফোনের কব্জায়। এই বয়সি ছেলেমেয়ের জীবন ফোনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। সামায়রা নাকি প্রতি দিন প্রায় আট ঘণ্টা ফোনের পিছনে সময় দিত। সেই দৃশ্য দিয়ার কাছে ভয়ঙ্কর। তবে স্বামী বৈভব রেখির সঙ্গে আলোচনা করে সামায়রার সেই অভ্যাস বদলানোর চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেটি অত্যন্ত কঠিন প্রক্রিয়া বলে জানালেন দিয়া।

দিয়া মির্জ়া তাঁর সৎকন্যাকেও নিজের সন্তানের মতোই যত্ন করেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘শিশুদের জন্য তৈরি বিষয়বস্তুগুলি আসলে ডোপামাইন ক্ষরণ করতে পারে। যেন নেশার মতো। মনে হতে পারে, শিশুদের যেন কোকেন দেওয়া হচ্ছে।” শিশুদের মন জয় করার জন্য সাজিয়ে, গুছিয়ে, নানাবিধ প্ররোচনা দিয়ে এগুলি বানানোকে তিরস্কার করলেন অভিনেত্রী। বাইরের দেশের নিয়মের প্রশংসা করে দিয়া বললেন, ‘‘শিশু নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফির মতো সমস্যাও বাড়ছে, আর তাই কয়েকটি দেশে নিয়ম করে ১৬ বছরের বয়সের নীচে সামাজমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। তাতেই উপকার হচ্ছে।’’

Advertisement

দিয়ার মতোই আপনিও স্মার্টফোনের প্রতি সন্তানের আসক্তি কমানোর উদ্যোগ নিয়ে ফেলুন

· নিয়মে না বেঁধে সন্তানের সঙ্গে ফোনের কুপ্রভাব নিয়ে আলোচনা করুন। তার পর দু’জনে মিলেই নির্দিষ্ট সময় স্থির করুন যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেবল ফোন ব্যবহার করবে আপনার সন্তান।

· বাড়িতে নিয়ম করুন, কয়েকটি ঘরে ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ, যেমন বাথরুম বা খাওয়ার ঘর, অথবা শোয়ার ঘর।

· ফোনের বাইরের জগৎটির সঙ্গে পরিচয় করান। যেমন মাঠে গিয়ে খেলাধুলো করা, সাঁতার কাটা অথবা আঁকা শেখা, বাগান করা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করুন।

· অভিভাবকদের নিজেদেরও ফোন ব্যবহার কমাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement