প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
মানুষের মতো পোষ্যেরাও মূত্রনালির সংক্রমণে (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই) আক্রান্ত হতে পারে। পোষ্যদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা কখনও গুরুতর হতে পারে। তাই প্রিয় পোষ্যের স্বভাব এবং শারীরিক কয়েকটি লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়।
সারমেয়দের ক্ষেত্রে ইউটিআই
এই ধরনের সংক্রমণের ফলে মূত্রের বর্ণের পরিবর্তন এবং মূত্রত্যাগের সময়ে জ্বালাভাব অনুভূত হয়। কিডনির সমস্যা থেকে বা বাড়ির বাইরে থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সারমেয়দের ক্ষেত্রে সিংহভাগ মূত্রনালির সংক্রমণের নেপথ্যে দায়ী ই কোলাই বা স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া।
কী কী উপসর্গ
১) পোষ্য যদি ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, সংক্রমণ হলে মূত্রথলিতে বেশি ক্ষণ মূত্র জমা থাকে না। জীবাণুর কারণে ঘন ঘন মূত্রত্যাগের বেগ তৈরি হতে পারে।
২) পোষ্য যদি ঘন ঘন মূত্রত্যাগের আগে দেহের নিম্নাঙ্গ চাটতে থাকে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। সংক্রমণের কারণে মূত্রত্যাগের আগে চুলকানি হয়। তার ফলে তারা ঘন ঘন পেটের নীচের অংশ চাটতে থাকে। এরই সঙ্গে পোষ্যের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
৩) বাড়িতে পোষ্য সময়ের সঙ্গে নিজের রুটিন তৈরি করে নেয়। তাদের মল-মূত্র ত্যাগের নির্দিষ্ট সময় এবং স্থান থাকে। কিন্তু যদি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পোষ্যটি বাড়িতে কোনও কারণ ছাড়াই মূত্রত্যাগ করতে শুরু করে, তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
৪) মূত্রত্যাগের সময়ে পোষ্য আওয়াজ করতে পারে। কেউ কেউ আবার ক্রমাগত চিৎকার করতে পারে।এই ধরনের ঘটনা তাদের সংক্রমণের ইঙ্গিতবাহী। মূত্রত্যাগের সময়ে পোষ্য যদি বেশি ক্ষণ মাটিতে বসে থাকার চেষ্টা করে, তা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত।
৫) সংক্রমণ গুরুতর হলে মূত্রের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে। অনেক সময়ে সংক্রমণের কারণে মূত্রের রং গাঢ় হলুদ বর্ণ ধারণ করতে পারে। মূত্রত্যাগের ফলে দুর্গন্ধ ছড়ালেও সাবধান হওয়া উচিত। এ রকম ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।