প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।
দীপাবলির মরসুমে বাড়িতে নানা ধরনের মিষ্টির আগমন বাড়ে। সাম্প্রতিক কালে মিষ্টি তৈরির পদ্ধতিও আমূল বদলে গিয়েছে। নানা ধরনের উপাদান তার মধ্যে মিশে থাকে, যা পোষ্যের দেহে প্রবেশ করলেই বিপত্তি হতে পারে।
সাধারণত পোষ্যপ্রেমীরা সারমেয়দের মিষ্টি খেতে দেন না। কিন্তু পোষ্য নিজেও অনেক সময়ে সুযোগ পেলে এই সব মিষ্টি খেয়ে ফেলতে পারে। তার ফলে অজান্তে তার শরীর অসুস্থ হতে পারে। তাই কয়েকটি মিষ্টি এবং তার মধ্যে থাকা রাসায়নিক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা জরুরি।
১) জ়াইলিটল: এই ধরনের উপাদান সাধারণত কৃত্রিম চিনি দেওয়া মিষ্টিতে থাকে। অল্প পরিমাণে জ়াইলিটল পোষ্যের দেহে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে।
২) কিশমিশ এবং আঙুর: পায়েস, ক্ষীর বা কেকের মধ্যে থাকে। সারমেয়দের কিডনির ক্ষতি করতে পারে কিশমিশ এবং আঙুর। অনেক সময়ে তা খাওয়ার ফলে পোষ্যের বমি হতে পারে। খিদে কমে যেতে পারে।
৩) ফ্যাট এবং চিনি: চিনি, ঘি বা ডালডায় তৈরি মিষ্টি সামান্য পরিমাণে খেলেও পোষ্যের পেটের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে প্যানক্রিয়াটাইটিস, ডায়েরিয়া এবং পেটে যন্ত্রণা হতে পারে।
৪) চকোলেট: দীপাবলির সময়ে বাড়িতে অনেকেই চকোলেট রাখেন। চোকোলেট বা ব্রাউনির মধ্যে থাকে থিয়োব্রোমিন, যা পোষ্যের বিপাক হার কমিয়ে দিতে পারে। পেটে বিষক্রিয়া হলে ডায়েরিয়া থেকে শুরু করে শরীরে খিঁচুনিও হতে পারে।
৫) বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদাম দিয়েও মিষ্টি তৈরি হয়। বাদাম, কাঠবাদাম বা আখরোট পোষ্যের গলায় আটকে যেতে পারে। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না করলে বড় কোনও বিপত্তি হতে পারে।