Tips to communicate with Kids

পড়াশোনায় তুখোড় হবে, স্কুলে যেতেও উৎসাহ পাবে, সন্তানকে কোন ৫টি কথা রোজ বলবেন?

সন্তানের মনঃসংযোগের অভাব, অতিরিক্ত জেদ অথবা পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার নেপথ্যে অভিভাবকরাই দায়ী নন তো?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ১৬:২০
Share:

সন্তানকে সব দিকে তুখোড় করে তুলতে এই কথোপকথনই যথেষ্ট, কৌশল শিখে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।

স্কুল থেকে ফিরে পড়তে বসতে চায় না অনেক শিশুই। স্কুলে না যাওয়ার জন্যও নানা বাহানা বানায়। পড়াশোনার নাম শুনলেই যেন গায়ে জ্বর আসে। বকাবকি করে পড়তে বসিয়েও মনোযোগ দিতে পারে না। মন সবসময়েই মোবাইল বা খেলাধূলার দিকে থাকে। বেশির ভাগ বাড়িতেই বাবা-মাকে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর কারণ কী, কখনও ভেবে দেখেছেন? সন্তানের মনঃসংযোগের অভাব, অতিরিক্ত জেদ অথবা পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার নেপথ্যে অভিভাবকরাই দায়ী নন তো?

Advertisement

পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পারমিতা মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ বাড়ির ছবিটাই এ রকম। এর জন্য বাবা-মায়েরাই দায়ী অনেক ক্ষেত্রেই। সন্তান স্কুল থেকে ফিরলে ক’জন বাবা বা মা জিজ্ঞাসা করেন, “আজ স্কুলের সময়টা কেমন কাটল?” সারা দিন সে কী কী করেছে, ক’জন সহপাঠীকে কাজে সাহায্য করেছে— এমন কথাও জানতে চান না বেশির ভাগই। সন্তানের কেন মনখারাপ বা তার দৈনন্দিন জীবনে কী হচ্ছে, তা জানার মধ্যে ফাঁক থেকে যায়। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সন্তানের মানসিক উন্নতি, মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের দৃঢ়তা নির্ভর করে সুন্দর সময় কাটানোর উপরে। তাই, রোজ সন্তানের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানো ও তাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করা খুবই জরুরি।

কী কী জানতে চাইবেন?

Advertisement

১) স্কুল থেকে ফেরার পরেই পরীক্ষার খাতা দেখতে চাইবেন না। সে কত নম্বর পেল তা-ও নয়। আগে জিজ্ঞাসা করুন, স্কুলের সময়টা সে কেমন ভাবে কাটালো, সারা দিনে কী কী কাজ করেছে। মা-বাবা এমন ভাবে জানতে চাইলে, সন্তানের স্কুলের প্রতি বা পড়াশোনার প্রতি ভীতি কমবে।

২) সারাদিনের কোন ঘটনা তাকে আনন্দ দিয়েছে— সেটিও জানতে চান। সহপাঠীর সঙ্গে খেলাধূলার মুহূর্ত, টিফিনের সময়ের হুল্লোড় অথবা ক্লাসে ঘটা কোনও ঘটনা যা তাকে আনন্দ দিয়েছে, সেটি ধৈর্য ধরে শুনুন। শিক্ষক বা শিক্ষিকা প্রশংসা করেছেন কি না, বা কী করলে সে এমন প্রশংসা পাবে, তা শিখিয়ে দিন।

৩) সন্তানের যদি মনখারাপ থাকে, তা হলে সে কারণ জানতে চান। প্রথম প্রথম হয়তো আড়ষ্ট থাকবে, সব কথা বলতে চাইবে না। তবে যদি বাবা বা মা এমন কথোপকথন চালিয়ে যান, তা হলে ভরসার জায়গা তৈরি হবে। জীবনে ব্যর্থতা ও অন্য প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তার পাঠ দেওয়া যেতে পারে এই সময়টাতেই। বহির্জগতের প্রতিযোগিতামূলক যাবতীয় ধাক্কার কথা সে যেন বাড়িতে বলতে পারে, তৈরি হবে সেই পরিসরও।

৪) সহমর্মিতার পাঠও দিতে হবে শিশুকে। প্রতি দিন কোনএ একটি ভাল কাজ করা শেখাতে হবে। স্কুলে সহপাঠী হোক অথবা তার বয়সি বা তার থেকে বড় কেউ হোক, কাকে কী ভাবে সাহায্য করতে পারে সে পাঠ দিতে হবে ছোট থেকেই। টিফিন ভাগ করে খাওয়া, নিজের জিনিসপত্রও অন্যের সঙ্গে ভাগ করা শেখাতে পারলে, সন্তানের মধ্যে স্বার্থপর মনোভাব তৈরিই হবে না।

৫) কোনও বই, খেলাধুলো, বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে আলোচনার অভ্যেস গড়ে তোলা যেতে পারে। কোনও কঠিন উপায়ে নয়, রোজ কিছুটা সময় সন্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা, প্রশ্ন করা, একসঙ্গে কোনও কাজ করার মাধ্যমে সহজেই লালন করা যাবে এই দিকগুলি। ভাল সময় কাটানোর মাধ্যমে সন্তানের বৃদ্ধির তিনটি দিকের উপরে সরাসরি প্রভাব পড়ে— কগনিটিভ অর্থাৎ চিন্তাশক্তি বা বুদ্ধিমত্তা, লিঙ্গুইস্টিক অর্থাৎ ভাষাগত, সোশ্যাল অ্যান্ড ইমোশনাল অর্থাৎ সামাজিক ও মানসিক বৃদ্ধি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement