HOME DECOR

পুজোর আগে এ ভাবে পুরনো লিভিং রুমের চেহারা বদলে চমকে দিন

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ১৫:২৯
Share:

বসার ঘরের নকশা ও আসবাবের জায়গা খানিক পরিবর্তন করলেই তা এনে দেবে নয়া চমক!

বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বসার ঘর। কারণ, অতিথি আপনার রুচি ও বিচারবুদ্ধির জরিপ করেন এই ঘরের উপর নির্ভর করেই। যে কোনও গেট টুগেদার, পার্টি বা ঘরোয়া ও আড্ডা, সবেতেই এই লিভিং রুম বা বসার ঘরের গুরুত্ব অপরিসীম।

Advertisement

তাই এই ঘর সাজাতে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। ফ্ল্যাট হোক বা নিজের বাড়ি, এই ঘরটি অভিনব উপায়ে সাজিয়ে পুজোর আগেই প্রস্তুত করে নিন।

ইন্টিরিয়র ডিজাইনের বিজ্ঞান বলে, প্রতিটি ঘরেরই একটি ‘ফোকাস পয়েন্ট’ বা মূল কেন্দ্র থাকে। ডিজাইনার সুমন দস্তিদারের মতে, ঘরের কোন দিকটি সেই ফোকাস তা আগে বুঝে নিতে হবে। অনেকের ঘরের মাঝখানে সিলিংয়ে ঝাড়বাতি লাগানো থাকে। আলো জ্বললে তার নীচের জায়গাটি মনোরম দেখায়। সে ক্ষেত্রে সেই জায়গাটিও হতে পারে ফোকাস। আবার বড় বড় জানলা থেকে বাইরের দৃশ্য দেখা গেলে তা-ও হতে পারে ফোকাস পয়েন্ট। এ বার সেই ফোকাস পয়েন্টের দিকে মুখ করেই রাখুন ঘরের বসার ব্যবস্থা।

Advertisement

আরও পড়ুন: এ ভাবে ইয়ারফোন ব্যবহার করলে বিপদের আর ভয় নেই

পরিকল্পনা

বসার ঘর সাজানোর পরিকল্পনা করতে হলে আগেই বুঝে নিন সেই ঘরের মাপ। যদি খোলামেলা বড় ঘর হয়, তা হলে এখানে আসবাবের সংখ্যা বেশি হতে পারে। কিন্তু যদি এই ঘরের আয়তন কম হয়, তা হলে আসবাবের সংখ্যা বেশি বাড়াবেন না। বরং, সে ক্ষেত্রে মন দিন বসার ব্যবস্থাপনা, কফি টেবিল, সেন্টার টেবিলের উপর। আসবাব, কার্পেট, দেওয়ালের রং, সবেতেই নতুন চমক এনে ঘরকে বদলে ফেলতে পারেন। দেখে নিন কী ভাবে সাজাবেন এ সব।

আলো

বসার ঘরের আলোতে ঔজ্জ্বল্য রাখুন। নানা আকারের ও নকশার আলো কিনে লাগান এই ঘরে। ছিমছাম কিন্তু আভিজাত্যের ছাপ যেন তাতে থাকে। শুধু দেওয়ালের আলোই নয়, ফ্লোর ল্যাম্প, সিলিং লাইট— এ সবও থাকুক এই ঘরে। একটি রেকাবিতে জল ভরে তাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে তার মধ্যে একটি মোমবাতি রাখুন। ঘরোয়া আড্ডা বা পার্টির দিন এটা রাখুন একেবারে ঘরের মাঝের সেন্টার টেবিলটির উপর।

দেওয়াল

বসার ঘরের দেওয়ালকে সাজাতে হবে খুব সুন্দর করে। ঘরের দেওয়াল যেন কখনওই স্যাঁতসেঁতে না হয়। আর স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল ঢাকতে কখনও ওয়াল পেপার ব্যবহার করবেন না। এটা পুরনো ফ্যাশন। বরং, দেওয়াল সারিয়ে তুলুন। একান্তই তা সম্ভব না হলে একটু ওয়াটারপ্রুফ হোয়াইট ওয়াশ করিয়ে নিন। তার পর ওয়াটার প্রুফ রং করান। রঙের ক্ষেত্রে বাছুন উজ্জ্বল রংকে। চারটি দেওয়ালকে সাজাতে পারেন কনট্রাস্ট কালার দিয়েও। আজকাল অনেক নকশাদার রং পাওয়া যায়। সে সবও লাগাতে পারেন ঘরের দেওয়ালে। ইট বা পাথরের নকশাতেও সাজাতে পারেন দেওয়াল। দেওয়ালে রাখুন নানা ওয়াল হ্যাঙ্গিং ও ছবিও। দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাছুন পর্দার রং।

আরও পড়ুন: লেবু-জল খাচ্ছেন না রোজ? এ সব জানলে এ ভুল আর নয়

কার্পেট

ঘর জুড়ে কার্পেট বিছানো সকলের ক্ষমতার মধ্যে থাকে না। তাই কার্পেট না থাকলেও ক্ষতি নেই। তবে যদি রাখতেই চান, তা হলে ছোট ছোট এরিয়ার জন্য কার্পেট রাখতে পারেন। কার্পেট থাকলে ঘরকে বড় দেখায়। কার্পেটের রং দেওয়াল ও সিলিংয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে রাখুন। সিলিং সাদা হলে গাঢ় কার্পেট। সিলিং গাঢ় রঙের হলে হালকা রঙের কার্পেট পাতুন। এটি পাতার সময় দেওয়াল থেকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে তা পাতবেন। কার্পেট রাখলে তা নিয়মিত পরিষ্কারের অভ্যাসও রাখতে হবে।

বাহারি গাছ

ঘরের মধ্যেই টবে নানা ছোট ও মাঝারি আকারের ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে সাজান বসার ঘর। ক্যাকটাস সমেত নানা লতানো গাছও থাকুক এই তালিকায়।

এ ভাবে লুক বদলে পুজোর আগেই আপনার বসার ঘরকে করে তুলুন স্নিগ্ধ ও সুন্দর।

ছবি: পিক্সঅ্যাবে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন