চোখ ভাল রাখতে জরুরি পর্যাপ্ত ঘুমও

সারা দিনের কাজের পরে শরীর যেমন অবসন্ন হয়, চোখ দু’টিও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। চোখ ক্লান্ত হলে নানা সমস্যা হতে পারে। মাথার যন্ত্রণাও শুরু হয়। চোখ ভাল রাখার কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সেগুলো চোখের চিকিৎসকই জানাতে পারেন। সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত সুষম আহার আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০১:২৩
Share:

উপযোগী: চোখের ক্লান্তি দূর করতে মাঝেমধ্যে জলের ঝাপটা দেওয়া জরুরি। নিজস্ব চিত্র

কথাতেই আছে— সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। কিন্তু সুন্দর চোখের কদরও কম নয়। কাজল নয়না হরিণী থেকে ‘যব সে তেরে নয়না...’— কাব্যে, সঙ্গীতে চোখের জয়জয়কার। চোখই মনের আয়না। কিন্তু আয়নার মতো ঝকঝকে রাখতে চোখেরও নিয়মিত পরিচর্যা দরকার। সামান্য ঘরোয়া কিছু টোটকা আর নিয়মিত চিকিত্সকের কাছে পরীক্ষা করালেই অমূল্য চোখের জ্যোতি ও সৌন্দর্য বাড়তে পারে অনায়াসেই।

Advertisement

সারা দিনের কাজের পরে শরীর যেমন অবসন্ন হয়, চোখ দু’টিও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। চোখ ক্লান্ত হলে নানা সমস্যা হতে পারে। মাথার যন্ত্রণাও শুরু হয়। চোখ ভাল রাখার কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সেগুলো চোখের চিকিৎসকই জানাতে পারেন। সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত সুষম আহার আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

এখন টিভিতে রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখা চলছে। কিন্তু পরদিন সকালে আবার কর্মস্থলে সঠিক সময়ে হাজিরা দেওয়াটাও অবশ্য কর্তব্য। কাউকে আবার অফিস ফেরত বাজার সেরে বাড়ি ফিরে অফিসেরই কাজ করতে হয়। কেউ ইন্টারনেট-চ্যাটে ব্যস্ত। কারও চোখ টিভিতে। রাতে আবার বিশ্বকাপ। এই রুটিনে চোখ বিশ্রাম পায় না। চোখের আরামও যে প্রয়োজন, সেটা অনেকেই ভুলে যান।

Advertisement

কেমন করে চোখের যত্ন নিতে হবে? মুখ মুছতে আলাদা নরম তোয়ালে ব্যবহার করা ভাল। তাতে চোখে সংক্রমণের হার অনেকটা এড়ানো যায়। যাঁরা চশমা ও সানগ্লাস নিয়মিত ব্যবহার করেন তাঁদের সে সব পরিষ্কার রাখতে হবে। চশমার অস্বচ্ছ কাচ কিন্তু দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি করে। যাঁরা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁরা সব সময় জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে লেন্স পরবেন। খোলার সময়েও একই নিয়ম। লেন্সে যাতে ধুলোবালি না ঢোকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালবাসেন। কিন্তু মনে রাখবেন, বৃষ্টির জলে বায়ুমণ্ডল থেকে অসংখ্য জীবাণু ও দূষিত উপাদান ঢুকে পড়ে। তাই বৃষ্টির জল চোখে না লাগানোই ভাল। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার জলে হালকা ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার।

খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে ছোট মাছ চোখের পক্ষে খুব ভাল। এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। অন্য কোনও সমস্যা না থাকলে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন একটা সেদ্ধ ডিম থাকলে ভাল। প্রতিদিন তাজা শাক-আনাজ ও মরসুমি ফল খেলে চোখ ভাল থাকে। এখনকার বেশির ভাগ কাজকর্ম কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনে সারেন অনেকে। একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের অস্বস্তি হয়। যা পরবর্তী কালে সমস্যা করতে পারে। টিভি দেখার সময় একটু দূর থেকে দেখাই ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন