সম্পর্ক অনেকটা চারাগাছের মতো। চারাগাছ যদি বসিয়ে ভুলে যান, খুব কম ক্ষেত্রেই তা নিজের মতো বেড়ে ওঠে। জল আর খাদ্যের অভাবে ধীরে ধীরে তা শুকিয়ে যায়। সম্পর্কও এমনই। ফেলে রাখলে গতিও হারিয়ে ফেলে। তার যত্ন নিতে হয়। আর এর জন্য আহামরি কিছু লাগে না, এই ছোটখাটো বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই যথেষ্ট।
কমিউনিকেশন: তবে শুধু দায়সারা ভাবে গুডমর্নিং বলা বা গুডমর্নিং মেসেজ পাঠিয়েই যদি ভাবেন কাজ শেষ, তা হলে খুব ভুল ভাবছেন। সম্পর্কের বাঁধন দৃঢ় করতে আরও অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। এই যেমন যে কোনও বিষয়ে নিজের অনুভূতিগুলো লুকিয়ে না রেখে সরাসরি তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন। তাঁকেও তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করার সুযোগ দিন।
কমপ্লিমেন্টস: প্রশংসা কিন্তু খুব বড় একটা ওষুধ। ছিঁড়ে যাওয়া সম্পর্কের দড়িও আবার শক্ত করে বেঁধে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে এর। তাই যখনই সম্ভব তাঁর কাজের প্রশংসা করুন। তবে অবশ্যই তা যেন জোরজবরদস্তি না হয়। এতে হিতে বিপরীত হয়।
উপহার: গিফট কি শুধু প্রেমিকাদের জন্য? একেবারেই নয়। উপহার পেতে কার না ভাল লাগে। আর তা যদি সারপ্রাইজ হয় তা হলে তো আর কথাই নেই। তাই একে অপরকে মাঝে মধ্যেই গিফট দিয়ে চমকে দিন। প্রেমিক বা প্রেমিকা— মনে মনে কিন্তু ভীষণ খুশি হবে।
পোশাক: আমরা তো সব সময়ই নিজের পছন্দের পোশাক পরি। নিজের পছন্দমতোই নিজেকে সাজাই। একবার না হয় তাঁর পছন্দে নিজেকে সাজিয়ে তুললেন। এই উইকএন্ডে এভাবেই তাঁর সঙ্গে মুভি দেখতে যান।
শ্রোতা: অফিসের কাজ, অফিসের কথা বাড়িতে নয়, বাড়ির সময়টুকু শুধু দু’জনেরই থাক। এটাই সাধারণত বলে থাকি আমরা আর এটাই মেনে চলার চেষ্টা করি। তবে মাঝেমধ্যে এই নিয়মকানুন একটু শিথিল করে দেখতে পারেন। অফিসের এমন অনেক কথাই তো থাকে যা হয়তো আপনাকে বলতে পারলে তাঁর ভাল লাগবে।
রান্না: সব সময় বাইরের খাবার না খেয়ে সময় পেলে নিজেই বানিয়ে নিন তাঁর পছন্দের কিছু সুস্বাদু রান্না। ভয় পাবেন না, ধরে নিলাম রেস্তরাঁর মতো সুস্বাদু হয়তো হবে না, কিন্তু আপনি বানিয়েছেন এটা জেনেই পার্টনার খুব খুশি হবেন। খুবই উপভোগ করে খাবেন।
একঘেয়েমি: সম্পর্ককে একঘেয়ে হতে দেবেন না একেবারেই। হতে পারে আপনার কাছে এগুলো খুবই নগণ্য বিষয়। কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে পারেন ফল ভালই হবে।