লুচি যে ভাবেই বানানো হোক না কেন, না ফুললে কিন্তু খেতে মজা আসে না। চিপসে যাওয়া লুচি খেতে মোটেই ভাল লাগে না। কী ভাবে লুচি ভাজলে ফুলকো হবে, রইল সেই হদিস।
অষ্টমী মানেই লুচি! অনেকেই অষ্টমীতে ভাত খান না, দুপুরে তাই ছোলার ডাল আর আলুর দমের সঙ্গে চাই লুচি। যাঁরা আমিষ খান তাঁদের আবার লুচির সঙ্গে চাই মাংস। কষা মাংস হোক বা নিরামিষ আলুর দম, সঙ্গে ফুলকো লুচি থাকলে আর কিছুই চাই না বাঙালির। বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতে সাদা সাদা ময়দার লুচিই হয়। তবে অনেকে আবার স্বাস্থ্য সচেতন বলে আটার লুচি খেতে পছন্দ করেন। লুচি যে ভাবেই বানানো হোক না কেন, না ফুললে কিন্তু খেতে ভাল লাগে না। চিপসে৷ যাওয়া লুচি খেতে মোটেই ভাল লাগে না। কী ভাবে লুচি ভাজলে ফুলকো হবে, রইল সেই হদিস।
১) লুচির ময়দা মাখার সময় তেল, নুন, চিনির পাশাপাশি যদি তাতে এক চিমটে বেকিং সোডা দিয়ে দেন, তা হলে লুচি কিন্তু ফুলবে। তবে বেকিং সোডা বেশি হয়ে গেলে কিন্তু লুচি অনেক বেশি তেল টেনে নেবে আর খেতেও ভাল লাগবে না। তাই পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
২) ময়দা বা আটার সঙ্গে যদি টক দই মেশানো হয় তা, হলেও কিন্তু লুচি দারুণ ফোলে। লুচি মুচমুচে খেতে ভাল লাগে না। দই দিলে লুচি নরম হবে, খাস্তা হবে না।
৩) লুচি বানানোর ক্ষেত্রে ময়ান দেওয়ার সময় তেল সকলেই দেন। তবে সেই তেল যদি গরম দেওয়া হয়, তা হলে লুচি ভাল ফোলে।
৪) আটা বা ময়দা মেখে সঙ্গে সঙ্গে লুচি বানিয়ে ফেলবেন না যেন। আটা বা ময়দার মণ্ডটি আধ ঘণ্টা সাদা মসলিন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। তার পরেই ভাজুন। ফুলকো হবে লুচি।
৫) লুচি ভাজার সময় তেল ভাল করে গরম না হলে, কিন্তু লুচি ফোলে না। তাই তেল ভাল করে গরম করে নিয়ে তবেই লুচি ভাজুন।