কফি ভাল রাখবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
অন্যান্য সময়ে না হলেও শীতের মরসুমে সকাল কিংবা সন্ধ্যায় কফির কাপে চুমুক না দিলেই নয়। কেবল মেজাজ চাঙ্গা করতেই নয়, এখন আবার রূপচর্চাতেও কফির বাড়বাড়ন্ত। কফির গুণেই নাকি ত্বক ও চুলের নানা সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই অনলাইন ই-কমার্স সাইটে ছাড় পেয়ে বড় শিশির কফি কিনে ফেলেছেন। এখন সমস্যা এক বার সেই শিশির ঢাকনা খুললেই কফির স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। অনেকেই বলেন, রেখে দেওয়া পুরনো কফি খেলে নাকি পেটেরও সমস্যা হয়।
অনেক দিন ধরে গুঁড়ো কফি ফেলে রাখলে সাধারণত জমাট বেঁধে যায়। কফির গন্ধও আর আগের মতো থাকে না। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে কফির স্বাদও পাল্টে যেতে পারে। তবে, অন্যান্য পচনশীল খাবারের মতো কফির কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ হয় না। সঠিক কৌশল জানলে কফি বিন্স বা কফি গুঁড়ো বছরের পর বছর একই রকম ভাবে ভাল থাকতে পারে।
বছরভর কফি ভাল রাখতে হলে কোন ৫ ভুল এড়িয়ে চলবেন?
১) প্লাস্টিকের কৌটোয় কফি ভরে রাখবেন না। কফি সংরক্ষণের সময় কাচের বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করাই শ্রেয়। শিশির মধ্যে যাতে আলো, হাওয়া কম প্রবেশ করে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
২) রোদ লাগলে কফির সমস্ত গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এমন জায়গায় কফির শিশি রাখা যাবে না, যেখানে রোদ আসে। আবার একই রকম অসুবিধে হতে পারে আগুনের আঁচ লাগলেও। তাই গ্যাস অভেনের আশপাশে কফির শিশি না রাখাই ভাল।
৩) জলের জায়গায় কিংবা নোনা ধরা দেওয়ালের আশপাশেও কফির শিশি রাখা যাবে না। তাতে কফির দলা পাকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। কফির গন্ধ বজায় রাখতে অনেকেই ফ্রিজের মধ্যে কফির শিশি রেখে দেন। ফ্রিজ থেকে বার করে কিছু ক্ষণ রাখলেই শিশির গা থেকে জল বেরোতে শুরু করবে। সে ক্ষেত্রেও কফি জমাট বেঁধে যেতে পারে।
৪) চড়া গন্ধযুক্ত কোনও খাবার কিংবা মশলার সঙ্গে কফি রাখা যাবে না। ঝাঁঝালো সেই গন্ধ অচিরেই কফির ঘ্রাণ নষ্ট করে দিতে পারে।
৫) কফি যদি রাখতেই হয় তা হলে বিন হিসেবে রাখাই ভাল। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণ কফির বিন নিয়ে, তা গুঁড়ো করে নিলেই হবে। তাতে স্বাদ এবং গন্ধ— দুই-ই বজায় থাকবে।
কফি দীর্ঘ দিন ভাল রাখার টোটকা
কাচের শুকনো শিশিতে কফি ভরে নিন। এ বার একটি টিস্যু পেপারে খানিকটা চাল নিয়ে একটি পুটুলি বানিয়ে নিন। এ বার পুটুলিটি কফির শিশিতে ভরে রাখুন। এই টোটকা মেনে চললে দীর্ঘ দিন পরেও কফি দলা পাকিয়ে যাবে না।