অনলাইনে কেনাকাটা করলেই ঠকে যান? ছবি: সংগৃহীত।
ব্যস্ততার চাপে শহরের বাজারগুলিতে ঘুরে পুজোর কেনাকাটা করার সময় পাচ্ছেন না অনেকেই। হাতে আর মাসখানেকও সময় বাকি নেই। শেষ মুহূর্তে তাই অনলাইন কেনাকাটাই ভরসা। অনলাইনে জিনিসপত্র কেনাকাটা করলে অনেকটাই সময় বাঁচে আর প্রায় সারা বছর জুড়েই বিভিন্ন সাইটে চলে অফার, তাই অনেকটা সাশ্রয়ও হয়। তবে অনলাইনে কাপড়ের মান খারাপ এসেছে, এমনও অভিযোগ করেন কেউ কেউ। অনলাইনে জামাকাপড় কিনে ফের বদলানোর ঝঞ্ঝাটেও পড়তে হয় অনেক সময়। কিছু নিয়ম ও সাবধানতা মেনে অনলাইনে পোশাক কিনলে বদল করার ঝকমারি বা ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
১) রিভিউ পড়তে ভুলবেন না: পছন্দ হল আর কিনে ফেললেন, এমন ভুল করবেন না। যে পোশাকটি কিনছেন, রিভিউ বিভাগে গিয়ে তার সম্পর্কে অন্যান্য ক্রেতাদের মতামত আগে পড়ে নিন। কেবল নকশা বা চটকদার রং দেখেই মজে যাবেন না। ভাল ও খারাপ বলে দেগে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু স্টার মার্কিং থাকে। কোনও পোশাক কতগুলো স্টার মার্ক পেয়েছে ও তার ব্যাখ্যায় কী কী লেখা রয়েছে, তা ভাল করে পড়ে নিন। অনেক সময় পোশাকটির আসল ছবিও ক্রেতা আপলোড করেন, সেটিও দেখে নিন।
২) দরদাম: অনলাইট কেনাকাটায় সরাসরি দরদাম করতে পারবেন না ঠিকই, তবে এক একটি পোশাকের দাম এক একটি ওয়েবসাইটে এক এক রকম হয়। ওই রকম পোশাকের বা নির্দিষ্ট ওই পোশাকটির দাম অন্য সাইটে কত, তা যাচাই করে নিতেই পারেন। অফার চললেও এই যাচাইটুকু প্রয়োজন।
৩) শিপিং চার্জ: অনেক সময় দেখা যায়, পোশাকের দাম কম রাখলেও ডেলিভারি চার্জ বা শিপিং চার্জে বেশি টাকা চেয়ে বসে ওয়েবসাইটগুলি। এগুলিকে বলে ‘হিড্ন চার্জ’। শেষে দেখা যায়, দাম কম হলেও ডেলিভারি ও শিপিং চার্জ মিলিয়ে হয়তো অনেকটা বেড়ে গেল পোশাকের দাম। কাজেই সে বিষয়টিও নজরে রাখুন।
৪) বদল: যে সাইট থেকে জিনিস কিনছেন, তাদের বদলের নিয়ম ও সময়সীমা সম্পর্কে আগেই খোঁজখবর নিন।
৫) অফার: যে সাইট থেকে পোশাক কিনছেন, তারা বিশেষ কোনও অফার দিচ্ছে কি না, সে সম্পর্কে খোঁজ নিন। পুজোর আগে বেশ কিছু ওয়েবসাইটে অনেক রকম অফার চলে, তাই কেনার আগে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তুলনা করে নিতে ভুলবেন না যেন।