Fake Trailers

আমির খান বিবেকানন্দ, অক্ষয় কুমার মোদী, ট্রেলারে ছয়লাপ ইউটিউব! সিনেমা কবে রিলিজ়?

আমির খান স্বামী বিবেকানন্দ এবং সমান্তরালে কিশোরকুমার। অক্ষয় কুমার একই দেহে নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথ। পুরো ‘ডোমবনে বাঁশকানা’ কেস!

Advertisement

অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ০৯:০২
Share:

'ফেক' ট্রেলারের অন্যতম অভিমুখ আমির ও অক্ষয়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আমির খান স্বামী বিবেকানন্দ অথবা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের ভূমিকায়, অক্ষয় কুমার তাঁর আরও দুই সঙ্গী পরেশ রাওয়াল এবং সুনীল শেট্টিকে নিয়ে ‘হেরাফেরি’-র তৃতীয় পর্বে অথবা রণবীর কপূর ‘রামায়ণ’-এ রাম কিংবা সেই ছবিতেই হনুমানের ভূমিকায় সানি দেওল… অবিশ্বাস্য লাগছে? মনের মধ্যে সন্দেহ উঁকিঝুকি দিয়ে যাচ্ছে— ‘কই এমন সিনেমার কথা সংবাদমাধ্যমে পড়িনি তো?’ তবে থামুন।

Advertisement

‘টাইটানিক’-এর সিক্যুয়েলে জলের তলা থেকে উঠে এসেছে জ্যাক ডসন, অথবা হ্যারি পটারের আটটি ছবির পরেও তৈরি হচ্ছে খলনায়ক লর্ড ভোল্ডেমর্টের জীবনীচিত্র, হঠাৎ নজরে পড়ছে ‘অ্যাভেঞ্জার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম কিস্তির ঝলক বা প্রিয় অ্যানিমেশন ছবি ‘শ্রেক’-এর পঞ্চম পর্ব…। এমন যদি কিছুতে নজর আটকায়, তবে থামুন।

পিকচার আভি বাকি হ্যায়!

Advertisement

সিনেমা দেখনেওয়ালাদের সমান্তরালে আরও এক প্রকার জীব এই ধরাধামে রয়েছেন, তাঁরা ট্রেলার দর্শক। সেই দিনগুলির কথা মনে করুন, আপনি ইস্কুল পালিয়ে কোনও সিনেমা হলে ছমছমে নুন শো দেখতে গিয়েছেন। ছবির মধ্যান্তর পর্ব মিটতে না মিটতেই পর্দায় ফুটে উঠতে লাগল একের পর এক আসন্ন ছবির ধামাকাদার ট্রেলার। তিন মিনিটের দৈর্ঘ্যে এই অমিতাভ বচ্চনের ঢিসুম তো পরক্ষণেই মিঠুন চক্রবর্তীর ‘জিমি জিমি আ যা আ যা’… ক্ষণে ক্ষণে পটপরিবর্তন! আর সেই ঘোরঘট্ট আশির দশকে আপনি ‘জওয়ানি কি জলওয়া’ বা ‘হান্ড্রেড নাইটস’-মার্কা লুকাছিপা ছবি দেখতে গিয়ে মনস্থির করে ফেলছেন, এ সব আসন্ন সিনেমা না দেখলেই নয়। অবশ্য সে সব ছবি আপনার দেখা হয়েছে কি হয়নি, সেটা বড় কথা নয়, আপনার চিদাকাশে খেলে যাচ্ছে ট্রেলারের জলতরঙ্গ। আপনি আসক্ত হয়ে পড়ছেন সিনেমা শুরুর আগে বা হাফটাইমের ঠিক পরেই দেখানো সেই তিন মিনিটের দুনিয়ায়। সে সব দিন বিশ্বায়ন আয় অন্তর্জালের এক ফুঁয়ে উড়ে গিয়েছে কবেই। কিন্তু ট্রেলার আপনার পিছু ছাড়েনি। ধসে পড়েছে একের পরে এক মিনার-বিজলি-ছবিঘর, বেশরম মল আর উচক্কা বহুতলের চাপে স্মৃতির মিছিল (প্লিজ পড়ুন ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’) নির্জন হয়ে পড়েছে। কিন্তু আপনি লেগে রয়েছেন। আপিস ফেরতা বাসে-মেট্রোয় গহনঘন জনারণ্যে মুঠোফোনে ইউটিউব খুলে কানে ইয়ারপ্লাগ ঠুসে দেখে যাচ্ছেন ট্রেলারের পর ট্রেলার। সিনেমা নয়, মুহূর্তের বিনোদন হিসেবে মধ্যবয়সে এসে ট্রেলারই হয়ে দাঁড়িয়েছে আপনার প্রাণের আরাম, আত্মার আনন্দ।

বিজয় মাল্যরও বায়োপিক! তায় আবার সলমন খান!! ছবি: সংগৃহীত।

এমত পরিস্থিতিতে আপনি আশা করতেই পারেন, যে সমস্ত সিনেমার ট্রেলার আপনার গোচরগত হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে দু’-একটি ধামাকাদার ছবি না দেখলেই নয়। আপনি অপেক্ষায় রইলেন, ও দিকে ট্রেলারের পর ট্রেলার নৈশসমুদ্রের জলকল্লোলের মতো ধাক্কা দিতে লাগল আপনার স্নায়ুতন্ত্রীতে। নিউরন, ডেনড্রন বোঝাই হয়ে গেল ট্রেলারে আর ট্রেলারে, আপনার ঈপ্সিত মুভিকুল আর ধরাধামে অবতীর্ণ হল না। আপনি অপেক্ষায় থাকলেন অক্ষয় কুমারকে যুগপৎ নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকায় দেখতে, আমির খানকে রাজীব গান্ধী ও স্বামী বিবেকানন্দের রোলে দেখে নয়ন সার্থক করতে। কিন্তু তাহারা আর আসিল না। আপনি ক্রমে ক্রমে জানলেন যে, এই সব ট্রেলার মেকি। বিলকুল ফাঁকি। আপনার মহার্ঘ সময়ের শ্রাদ্ধ হল। ভিউয়ারশিপ পেলেন ইউটিইউবে এই সমস্ত ট্রেলার আপলোডকারী চ্যানেলের ধুরন্ধর কর্তারা। বাংলা কথায় আপনি ‘মুরগি হলেন’। এ হেন মুরগির ব্যবসাটির এই মুহূর্তে বড়ই রমরমা। ইউটিউবে সার্চ অপশনে গিয়ে ‘ট্রেলার’ বা ‘মুভি ট্রেলার’ লিখে সার্চ দিলে গন্ডাপাঁচেক প্রকৃত সিনেমার ট্রেলারের পাশাপাশি খান পঁচিশেক এমন সব ছবির ট্রেলার চলে আসে। নজর করলে দেখা যায়, এ সব ট্রেলার আপলোড হয়েছে ‘আনকাট মুভিজ’ বা ‘আনরিয়্যাল মুভিজ’ ইত্যাদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে। কিন্তু যখন আপনি ট্রেলার দেখতে শুরু করলেন, দেখা গেল সেগুলি ‘ইরোজ ইন্টারন্যাশনাল’ কিংবা ‘টি সিরিজ’-এর ব্যানারে বানানো বলে প্রচার করা হচ্ছে। ইংরেজি ট্রেলারের ক্ষেত্রেও ভারী ভারী নাম— ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’, ‘ডিজনি’, ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স। কিন্তু লক্ষণীয়, সেগুলির আপলোডকর্তা কিন্তু এই সব সংস্থার কেউই নয়। তারা যে ঠিক কারা, ঠাহর করাই মুশকিল। ট্রেলারের দুনিয়ায় আপাতত এঁয়াদেরই রমরমা।

হলিউড থাক, বলিউডের দিকেই যদি তাকান তো আপনার চোখ ঠিকরে বার হওয়ার উপক্রম হবে। আমির খান স্বামী বিবেকানন্দ এবং সমান্তরালে কিশোরকুমার। অক্ষয় কুমার একই দেহে নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথ। পুরো ‘ডোমবনে বাঁশকানা’ কেস! কোন দিকে তাকাবেন, মালুম পাবেন না। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘড়ে চড়ার কথা ছিল, তা নয়তো তা চাপল গিয়ে ব্যাকরণ শিংয়ের পিঠে। ‘হযবরল’-তেও এমন সব অ্যাবসার্ড ও ইল্লুতে কাণ্ড কারখানা ছিল কি না সন্দেহ। আর লক্ষ করার বিষয় এই সমস্ত ট্রেলারের নব্বই শতাংশই কারওর না কারওর জীবনিচিত্র। এমনিতেই বায়োপিকের ভারে বলিউড ডুবু ডুবু, তাতে শেষ পেরেক মারছে সম্ভবত এই ‘ট্রেলারউড’। শুধুই যে এই সব ‘ইতিবাচক’ চরিত্রেরই বায়োপিক হচ্ছে এমন নয়, ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে ‘বিজয় মাল্য’র বায়োপিকে নামভূমিকায় সলমন খানকেও। এখন প্রশ্ন হল, কারা এই ট্রেলারগুলি তৈরি করেন এবং এই সব ট্রেলার নির্মাণের পিছনে উদ্দেশ্যটাই বা কী।

এপিজে আব্দুল কালামের ভূমিকায় আমির খান! ছবি: সংগৃহীত।

গত দু’দশকের মধ্যে ইউটিউব অন্যতম জনপ্রিয় সমাজমাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতির তর্ক থেকে নাইটি পরিহিতা বৌদির বাসন মাজার ভিডয়ো সেখানে আপলোডিত হচ্ছে এবং ভিউয়ারশিপও পাচ্ছে। সমান্তরালে ইউটিউব এই মুহূর্তে উপার্জনেরও একটি বড় মাধ্যম। এখানে এই সব ‘মক’ বা ‘ফেক’ ট্রেলারের দর্শক বিপুল। সিনেমা হল যখন উদ্বায়িত, ছায়াছবি যখন ব্যক্তিগত দর্শনের পরিসরে, তখন ট্রেলার একটা স্বতন্ত্র সত্তা নিয়ে আবির্ভূত হতেই পারে। চলচ্চিত্র পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের মতে, ট্রেলার দর্শন একটা স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিসর। সিনেমা দেখার মতো ট্রেলার দেখারও ‘কালচার গড়ে উঠেছে। যাঁরা বানাচ্ছেন, তাঁরাও দক্ষ ক্রাফটসম্যান। অবশ্য সে দক্ষতা হলিউডি ট্রেলারের ক্ষেত্রে যতখানি, দেশি পরিসরে ততটা নয়। অন্য দিকে আর এক চিত্রপরিচালক অতনু ঘোষ মনে করছেন, এই সব ট্রেলার নির্মাণ নিছকই উপার্জনের নতুন রাস্তা। যাঁরা এগুলি তৈরি করছেন, তাঁরা কেউই আগে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ভিডিয়ো নির্মাণের কলাকৌশল যখন সহজলভ্য হয়ে উঠল, তখন একটা ‘শ্রেণি’ই যেন গড়ে উঠল। একটু বুদ্ধিমান মানুষের হাতে এই ধরনের ট্রেলার বা ভিডিয়ো নির্মিত হতে লাগল।

তা হলে কি ধরে নিতে হবে, এই ‘অ-সম্ভব’ ছবির ট্রেলারের জগৎ আসলে ‘এমন হলে কেমন হয়’-এর দুনিয়া? অতনু জানালেন, এই ট্রেলার জগতের সঙ্গে মূল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনও সম্পর্কই নেই। কোনও ভাবেই এই সব নির্মাণ ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করবে না। এর দর্শককুল মূলত শহর বা মেট্রোপলিস থেকে দূরে বাসরত জনগোষ্ঠী। যাঁদের কল্পনায় ‘এমন তো হতেই পারে’-গোছের একটা মনোবৃত্তি ঝিলিক দিয়ে যায়। আবার এমনও হতে পারে, এর দর্শক জানেন, এই সব সিনেমার কোনও সম্ভাবনাই নেই। নিছক মজা হিসেবেই এগুলিকে তাঁরা নেন এবং সোজা বাংলায়, দেখে ‘চিল’ করেন।

যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকায় অক্ষয় কুমার! ছবি: সংগৃহীত।

লক্ষ করার বিষয়, হলিউডের ‘ফেক ট্রেলার’ যেমন কিং কং, গডজ়িলা, অ্যানাকোন্ডা, মেগালোডন ইত্যাদি অধিবাস্তব চরিত্রদের ঘিরে আবর্তিত, বলিউডের নকলনবিশরা কিন্তু আটকে রয়েছেন বায়োপিকেই। আর সেখানেই একটা রাজনীতির গন্ধ দেখতে পাচ্ছেন চিত্রসমালোচক শান্তনু চক্রবর্তী। শান্তনুর কথায়, “এই ধরনের ট্রেলার নির্মাণ হলিউডে একটা সমান্তরাল ধারা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ দেশে তেমন নয়।” হলিউডি ছবির নকল ট্রেলার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে যে স্তরের নন্দনকে উপস্থাপন করতে পারছে, হিন্দি ছবির ফেক ট্রেলার তার ধারেকাছেও আসতে পারছে না। হিন্দি ট্রেলারের ক্ষেত্রে মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে ইতিমধ্যে রিলিজ হওয়া সিনেমার টুকরো টুকরো দৃশ্য। আবার আমির খানকে বিবেকানন্দের ভূমিকায় কখনওই ক্লোজ আপে দেখানো হয়নি। আব্দুল কালামের বায়োপিকে আসল আব্দুল কালামেরই ফুটেজ জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু এলোমেলো শট-এর সঙ্গে। ‘নির্মাণ’ হিসেবে এগুলিকে কখনওই উচ্চ মানের বলা যায় না। একই ভাবে যোগী আদিত্যনাথের জীবনিচিত্রের ট্রেলারেও অক্ষয় উহ্য থাকেন। কাস্টিংয়ে আবার ক্যাটরিনা কইফের নামও রয়েছে। তিনি ট্রেলারের কোথাও দৃশ্যমান নন। শান্তনুর দৃষ্টিতে, এই ধরনের ট্রেলার নির্মাণের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম রাজনীতি রয়েছে। আপাতত বলিউডের এমন দুই নায়ককে এই সব ট্রেলারের কুশীলব হিসাবে বেছে নেওয়া হচ্ছে, যাঁদের পর পরে বেশ কিছু ছবি ফ্লপ। তাঁদের ফ্যানবেস বাড়ানোর চেষ্টা এ ধরনের ট্রেলার করতে পারে। কিন্তু তার চাইতেও বড় কথা, যে সব বিষয়কে, বা বলা ভাল যে সব ব্যক্তিকে আধার করে এই সব ট্রেলার বানানো হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে দেশের বর্তমান হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী, যোগী আদিত্যনাথ, ১০৪৭-এর দেশভাগে বিপর্যস্ত হিন্দু জনসাধারণ অথবা রামায়ণের হনুমান— এ সবই কোনও না কোনও ভাবে হিন্দুত্ববাদ বা তাতে নিষিক্ত রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে বলেই মনে করছেন শান্তনু। লক্ষণীয়, আমির খান চরম দক্ষিণপন্থীদের কাছে বারংবার ‘টার্গেট’ হয়েছেন। তাঁকে এই সব জাতীয় ভাবাবেগসম্পন্ন ভূমিকায় দেখিয়ে দক্ষিণপন্থীরা হয়তো কোথাও ‘সাবভার্সন’-এর মজা পাচ্ছেন। আবার ঘোষিত ভাবে দক্ষিণপন্থী অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে মোদি বা যোগী বানিয়ে তাঁর হৃত ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের একটা চেষ্টা চলছে। বলিউডের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদের সম্পর্ক যে অবিচ্ছেদ্য, তা বহু গবেষণাতেই প্রমাণিত। এখন তার ‘মিমিক্রি’ নকল ট্রেলার কি তা থেকে দূরে থাকবে? বরং এই কাজটি প্রোপাগান্ডা হিসেবে সহজতর। ছবি নির্মাণের বাজেট, ছবি হিট বা ফ্লপ নিয়ে দুশ্চিন্তা— কোনও কিছুরই দরকার নেই। খালি এটার সঙ্গে সেটা জুড়ে কিছু একটা বানিয়ে আপলোড করে দাও। দেবালয় কথায় কথায় বললেন, “ব্যাপারটাকে নিছক বিজ্ঞাপনের আঙ্গিকেই কেন দেখা হচ্ছে না? সিনেমা নেই, ট্রেলার রয়েছে। প্রোডাক্ট নেই, বিজ্ঞাপন রয়েছে। আর বিজ্ঞাপনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যে সর্বদাই পূরণ করা হবে, তার তো কোনও স্থিরতা নেই!”

অবশ্যই এই সব ট্রেলার বিজ্ঞাপন। যে কোনও ট্রেলারই সিনেমার বিজ্ঞাপন। তাতে যে ভাবে সিনেমাটিকে বর্ণনা করা হয়, তা ছবিটি দেখতে বসলে হয়তো মেলেই না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সিনেমাটিই তো নেই! তা হলে কিসের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বলিউডি কল্পিত ছবির ‘বিজ্ঞাপন’ নির্মাতারা? হিন্দুত্ববাদী দক্ষিণপন্থী রাজনীতির? সে দিক থেকে দেখলে তো এই সব কাঁচা হাতের নির্মাণ নেহাত ‘ছেলেখেলা’ নয়! এর শিকড় অনেক গভীরে চারিয়ে গিয়েছে। হলিউডে যা নিছক ‘মজা’, এ দেশে তা না-ও হতে পারে। আপাতত যাকে নিরীহ ‘খেলা’ বলে মনে হচ্ছে, তা যে ধীরে ধীরে গণমানসে কোনও বড়সড় প্রভাব ফেলছে না, তা কে বলবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement