email recovery process

সতর্ক না হলে ইমেল অ্যাকাউন্ট বেহাত হতে পারে! হ্যাকিং হলে কী করবেন? উদ্ধার কী ভাবে?

সতর্ক না হলে ইমেল অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকারেরা। ইমেল অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ করা যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫ ১১:০৮
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

একটা সময় ছিল, যখন ইন্টারনেটে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমেল ব্যবহার করা হত। ডিজিটাল যুগের পরিসর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই দৈনন্দিন জীবনেও ইমেলের গুরুত্ব বেড়েছে। পেশাগত কাজের বাইরে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রেও ইমেল গুরুত্বপূর্ণ। সমাজমাধ্যমের পাশাপাশি একাধিক ই-কর্মাস ওয়েবসাইটেও আমরা এখন ব্যক্তিগত ইমেল ব্যবহার করে লগ ইন করে থাকি। তাই কোনও কারণে ব্যক্তিগত ইমেল অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাক করা হয়, তা হলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

Advertisement

অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে

ইমেল অ্যাকাউন্ট যদি চুরি হয়ে যায় বা তার নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে গেলে অবিলম্বে কয়েকটি পদক্ষেপ করা উচিত—

Advertisement

১) প্রথমেই অন্য কোনও ডিভাইস থেকে ইমেল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলার চেষ্টা করা উচিত।

২) বাড়ির কোনও পুরনো ডিভাইস (যেমন ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ), যার মধ্যে ইমেলে লগড ইন রয়েছে, সেটি ব্যবহার করে পাসোয়ার্ডটি পরিবর্তন করা উচিত। সম্ভব হলে এ ক্ষেত্রে বাড়ির ওয়াইফাই এবং পুরনো ব্যবহৃত ব্রাউজ়ার থেকে কাজটি করা উচিত।

৩) রিকভারি ইমেল যদি আগে থেকে তৈরি করা থাকে, তা হলে গুগ্‌ল বা মাইক্রোসফ্‌ট-এর মতো অনেক সংস্থাই অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয়।

৪) রিকভার করার সময়ে সুরক্ষা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক দিতে পারলেও এই পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ডট ফিরে পেতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে।

৫) এর পরেও পুরনো অ্যাকাউন্ট ফিরে না পেলে, দ্রুত নতুন ইমেল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা উচিত। ক্লাউড ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ নথির ব্যাকআপ নেওয়া থাকলে নতুন অ্যাকাউন্টে সংযুক্ত করলে, তথ্যের সিংহভাগই ফেরত পাওয়া সম্ভব। একসঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের লগ ইনের জন্য পুরনো ইমেলটিকে বাদ দিয়ে নতুন ইমেল সংযুক্ত করা উচিত।

অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলে বা পুরনোটি সুরক্ষিত রাখতে

ইমেল অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার সম্ভব হলেও সুরক্ষিত থাকতে কয়েকটি পদক্ষেপ করা যেতে পারে—

১) প্রথমেই পুরনো অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখা উচিত, নতুন পাসওয়ার্ডটি যেন অন্তত ১২টি অক্ষর বিশিষ্ট হয়। তার মধ্যে অক্ষর এবং সংখ্যা ছাড়াও স্পেশ্যাল ক্যারেক্টারও রাখা উচিত।

২) পাসওয়ার্ড বদলের ক্ষেত্রে কোনও ‘পাসোয়ার্ড ম্যানেজার’ ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত এই সফ্‌টঅয়্যার জটিল কম্বিনেশন ব্যবহার করে। ফলে হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা কমে যায়।

৩) ইমেলে ‘টু স্টেপ ভেরিফিকেশন’ সক্রিয় রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে এসএমএসের পরিবর্তে কোনও কোড জেনারেটিং অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪) পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে অ্যাকাউন্টে ‘পাস কি’ ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফোন এবং তার মধ্যে ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক্স শনাক্ত করা হয়। ফলে হ্যাক করা সম্ভব নয়।

৫) ইমেলের সঙ্গে সব সময়ে একটি রিকভারি ইমেল অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল নম্বর সংযুক্ত রাখা উচিত। এর ফলে পুনরুদ্ধার করা সহজ হয়।

৬) অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যত বেশি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়, ততই ভাল। উত্তরগুলি আলাদা করে সুরক্ষিত কোথাও লিখে রাখা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement