প্রতীকী ছবি। সৌজন্যে শাটারস্টক।
ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত মুঠোফোনের দিকে সারা দিন তাকিয়ে থাকা আর নতুন কিছু না। সস্তায় ৪জি, বড় ডিসপ্লে, দারুন ক্যামেরা, আকর্ষণীয় সব অ্যাপ্লিকেশন, প্রয়োজনে বা স্রেফ সময় কাটাতে, স্মার্টফোনের বিকল্প নেই। কিন্তু সারা দিন এই ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের কতটা ক্ষতি হতে পারে?
টোলেডো ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তরফে জানা গিয়েছে, এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। এমনকি, এর ফলে অকালে দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া থেকে পুরোপুরি অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু ফোন নয়, যে কোনও ডিজিটাল ডিসপ্লে থেকে নির্গত নীল আলো, এমনকি সূর্য থেকে আশা নীল আলো চোখের অপূরণীয় ক্ষতি করছে।
তবে, সিগারেট খেলেই যেমন সবার ক্যানসার হয় না, সমস্ত স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অন্ধ হয়ে যাবেন, এমনটা নয়। গবেষণায় জানা গিয়েছে, সূর্য বা এই ডিজিটাল ডিসপ্লে (টিভি, ফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি) থেকে নির্গত নীল আলোর জন্য সব থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে রেটিনার। বিষাক্ত কিছু রাসায়নিক চোখের এমন ক্ষতি করছে, যা আর ঠিক হওয়ার নয়। দিনের পর দিন এরকম চলতে থাকলে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সে চোখের সমস্যা কিংবা অন্ধত্ব আসাটাও অসম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯, দেখে নিন ফিচার
সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় অন্ধকারে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে। অন্ধকার ঘরে চোখ সয়ে যাওয়ার জন্যে আইরিশ অনেকটা খুলে যায়, যাতে বেশি আলো ঢোকে। ফলে অন্ধকারেও আমরা কিছুটা দেখতে পাই। কিন্তু তখন চোখের সামনে ফোন থাকলে অনেক বেশি আলো ঢোকে চোখে। ফলে তা সাধারণের থেকে অনেক বেশি ক্ষতি করে। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেসেজ করা বা ফেসবুকে কিছুটা সময় কাটানোর ফলাফল চোখের জন্যে অনেক বেশি ক্ষতিকারক।
আরও পড়ুন: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস১০-এর এই ফিচারগুলি জানেন?
এর থেকে বাঁচার জন্যে প্রধান উপায়, যতটা কম স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যায়। বিশেষ করে অন্ধকারে। কিন্তু একান্তই যদি দিনে অনেকটা সময় কাটাতে হয় ফোনের সঙ্গে, প্রথমেই ফোনের ডিসপ্লের আলো যতটা কমিয়ে দেখা যায়, ততটাই দিন। এর সঙ্গে এখন প্রায় প্রতিটা ফোনেই ‘নাইট মোড’ বা ‘রিডিং মোড’ আছে, যাতে স্ক্রিনে একটা হলুদ আভা থাকে, নীলের পরিমাণ কমে। যাদের অনেকটা সময় কাটে কম্পিউটারের সামনে, তাদের জন্যেও এই নীল আলো সমান ক্ষতিকর। মনিটরের সেটিংস থেকে ডিসপ্লেটা একটু হলুদ করে নিন, বা সফটওয়্যার দিয়ে। এর জন্য একাধিক সফটওয়্যার আছে। বাড়ির টিভিতেও ব্রাইটনেস কনট্রাস্ট ঘরের আলোর সঙ্গে মিলিয়ে রাখুন, স্যাচুরেশন অতিরিক্ত করবেন না। আর খেয়াল রাখুন নীলচে ভাব যতটা কমানো যায়।