ভাঙচুরের পর। —নিজস্ব চিত্র।
এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ। বহরমপুর থানার ভাগীরথীর পশ্চিমপাড় লাগোয়া গোয়ালজান গ্রামের বেকারি ব্যবসায়ী গোপাল দাস বুকে ব্যথা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। গোপালবাবুর দাদা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “এদিন সকালে ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বোন ছবি দাস চিকিৎসককে ডেকে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করলেও কতর্ব্যরত নার্সরা আমল দেননি। উল্টে বোনের সঙ্গে তারা অভব্য আচরণ করেন। বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে পড়ে থেকে ভাই মারা গেল। যদি হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দিত, তা হলেও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার বব্যস্থা করতে পারতাম।” রোগী মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোয়ালজান থেকে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন হাসপাতালে ভিড় করেন। এর পরেই উত্তেজিত হয়ে তাঁরা হাসপাতালের ‘মেডিসিন বিভাগে’ ভাঙচুর চালান। বহরমপুর থানার আইসি অরুণাভ দাস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃসদনে হাসিবা বিবি নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর পরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। ফের এ দিন হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। মণিময়বাবু বলেন, “হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকালেও চিকিৎসক তিন বার গিয়ে ওই রোগীকে দেখেছেন। কিন্তু কোনও কারণে রোগী মৃত্যু হলেই হাসপাতালে ভাঙচুর করা ঠিক নয়। বরং অভিযোগ পেলে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যেত। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”