নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গফিলতিতে শিশুমৃত্যু অভিযোগ তুলে প্রায় ১২ ঘণ্টা নার্সিংহোমে মৃত শিশুকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পরিজনেরা। শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার শহরের ওই নার্সিংহোমে বিক্ষোভ চলে।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নার্সিংহোমে শম্পা রায়ের একটি পুত্র সন্তান প্রসব হয়। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় চিকিৎসক শিশুকে রেফার করার কথা লিখে দেন। কোচবিহার হয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বা চিকিৎসক কেউ তাদের জানাননি। রাতে তা জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। শিশুর কাকা গৌতম পায় অভিযোগ করে বলেন, “সময়মত বিষয়টি জানালে হয়ত শিশুকে বাঁচানো যেত। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের গফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।” শিশু চিকিৎসক জয়দেব ঘোষ বলেন, “দুপুরে রেফার লিখে দিই। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কী করেছেন তা আমার জানা নেই।” নার্সিংহোমের মালিক অরিন্দম ঘোষ পাল্টা দাবি করে বলেন, “বিকেলের মধ্যেই রেফারের বিষয়টি জানানো হয়। পরিবারের লোকেরা নানা টালবাহানা করে দেরি করেন।”
নার্সিংহোমের এক কর্মী অভিযোগ করেন, রাত থেকেই মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা কর্মীদের মারধর করেছে। সকালে চেয়ার ভাঙা হয়। যদিও পরিবারের তরফে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”