নাসার নামে  ঠগবাজি, গ্রেফতার  বাবা-ছেলে

উত্তরপ্রদেশের আরও ৩০ জনকে প্রতারণা করেছে ওই দু’জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় বিশাল চাহিদা এমন ধাতু ‘রাইস পুলার’ পরীক্ষা করার কথা দিল্লির এক ব্যবসায়ীকে জানিয়েছিল বাবা-ছেলে। যাতে ব্যবসায়ীর সন্দেহ না-হয়, তার জন্য বাবা-ছেলে পরেছিল নাসার বিজ্ঞানীদের মতো পোশাকও। এই প্রতারকদের ফাঁদে সহজেই পা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। তাতেই কয়েক কোটি টাকা খুইয়েছেন তিনি। প্রতারণার অভিযোগে আপাতত পুলিশের জালে বাবা-ছেলে জুটি। জানা গিয়েছে, শুধু ওই ব্যবসায়ীই নয়, উত্তরপ্রদেশের আরও ৩০ জনকে প্রতারণা করেছে ওই দু’জন।

Advertisement

এটাই নতুন নয়। এর আগেও বহু বার ‘রাইস পুলার’-এর নামে প্রতারণার খবর শিরোনামে এসেছে।

কিন্তু কী এই ‘রাইস পুলার’?

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আসলে এই ‘রাইস পুলার’ হল এমন একটি বস্তু যার কোনও অস্তিত্বই নেই। কিন্তু প্রতারকেরা তামার পাত্র বা বাসনে গলানো চুম্বকের প্রলেপ দেয়। এর পর ভাত আর ছোট লোহার তার নিয়ে মানুষকে বোকা বানায়।

চলতি মাসেই নরেন্দ্র নামে দিল্লির ওই কাপড় ব্যবসায়ী দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার কাছে যান। অভিযোগ করেন, বীরেন্দ্রমোহন ব্রার (৫৬) ও তাঁর ছেলে নিতিনমোহন ব্রার (৩০) তাঁকে প্রতারণা করেছে।

নরেন্দ্রর অভিযোগ, ঘটনার সূত্রপাত তিন বছর আগে। এক ব্যক্তি তাঁকে জানায়, ‘রাইস পুলার’-এর ব্যবসায় প্রচুর লাভ। তারাই আলাপ করিয়ে দেয় ঠগবাজ বাবা-ছেলের সঙ্গে। তারা তাঁকে জানিয়েছিল, তাদের সংস্থা নাসা ও ডিআরডিও-র মতো মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রগুলিতে সাড়ে ৩৭ হাজার কোটিতে ‘রাইস পুলার’ নামে ওই বিরল ধাতুর পাত্র বিক্রি হয়। তবে এ হেন ধাতু সরবরাহ করার আগে তা খাঁটি কি না, তা পরীক্ষা করা দেখা হয়। এর পর ওই ‘রাইস পুলার’ পরীক্ষায় কিছু টাকা বিনিয়োগ করার জন্য লোভ দেখায় বীরেন্দ্র ও তার ছেলে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ১.৪৩ কোটি টাকা বিনিয়োগও করেছিলেন নরেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন