প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে শসা, পেঁয়াজ, টম্যাটো কেটে স্যালাড তৈরি করলেই হল না। তার সঙ্গে চাই পাতিলেবুর রস, নুন, আবার কখনও বা সামান্য ভাজা মশলা। অর্থাৎ স্যালাড মানেই কয়েকটা উপকরণ একসঙ্গে জড়ো করলে হল না। বরং তার সঙ্গে জরুরি এমন কিছুর, যা স্যালাডের স্বাদকে বাড়িয়ে তুলবে। পাশাপাশি স্যালাডে যোগ করবে এমন এক টেক্সচার, যা ছাড়া স্যালাড অসম্পূর্ণ। আর এখানেই জরুরি স্যালাডের ড্রেসিং।
বাজারচলতি নানা ড্রেসিং পাওয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে খেয়াল রাখলে স্যালাডের ড্রেসিং নিজে বাড়িতে তৈরি করাই ভাল। নিতান্তই বাইরে স্যালাড খেতে হলে, তার ড্রেসিং নিজের হাতে করে মিশিয়ে নেওয়া উচিত। এতে কতটা ড্রেসিং ব্যবহার করছেন, সে সম্পর্কে ধারণাও থাকবে।
স্যালাডের ড্রেসিং অগুনতি হলেও মূলত দু’ভাগে তাকে ভাগ করতে পারেন— ভিনিগ্রেত এবং ক্রিমি। ভিনিগ্রেত হল তেল ও ভিনিগারের মিশ্রণ। আর ক্রিমি স্যালাড ড্রেসিংয়ে থাকে বাকি নানা উপকরণের মিশ্রণ। ক্রিমি ড্রেসিংয়ের বেস কিন্তু সাধারণত মেয়োনেজ, দই কিংবা সাওয়ার ক্রিম হয়।
বাড়িতে স্যালাড তৈরি করলে ড্রেসিং বাড়তি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তার জন্য শুকনো কাচের জারে বা বোতলে ড্রেসিং ভরে রাখলে থাকবে এক মাসেরও বেশি।
লেবুর খোসা, পাতিলেবুর রস, মধু, ইংলিশ মাস্টার্ড, সৈন্ধব লবণ, গোলমরিচ আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে বানাতে পারেন লেমন ভিনিগ্রেত। যে কোনও স্যালাডের ড্রেসিং হিসেবেই এর জুড়ি মেলা ভার। মধু আবার সরষের অনন্য দোসর। তার সঙ্গে শুধু জল ঝরানো টক দই আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে দিলেই হল। তৈরি হানি মাস্টার্ড ড্রেসিং। অ্যাভোকাডো, ধনে পাতা, দই, আমন্ড মিল্ক, লেবু, নুন, মরিচ, রসুন মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্রিমি অ্যাভোকাডো সিলান্ত্রো লাইম ড্রেসিং।
তা হলে আর রেস্তরাঁর ড্রেসিং না খেয়ে এ বার বাড়িতেই বানাতে পারেন হরেক ড্রেসিং।