স্বাস্থ্যের দেখভালে বন্ধু গ্যাজেটের ব্যবহার

ফিটনেস বা হেল্থ ট্র্যাকার মূলত তিন ধরনের। প্রথম হল, কবজিতে পরার ব্যান্ডের মতো ফ্লেক্স বা ফুয়েল ব্যান্ড। অন্যটা হাতঘড়ির মতো নানা স্মার্টওয়াচ বা গিয়ার। আর তৃতীয় রকম হল, বুকে লাগিয়ে রাখার হার্টরেট মনিটর। দাম শুরু সাত হাজার টাকা থেকে।

Advertisement

অরিজিৎ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ১২:৩০
Share:

অফিসের ডেস্ক থেকে কাজ সামলে, আবার বাড়িতে এসে বসে পড়া। কে যেন বলেছিল, ‘সিটিং ইজ দ্য নিউ স্মোকিং’। ফলে বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ। এমন অবস্থায় কাজে আসতে পারে ফিটনেস ট্র্যাকার আর হেলথ গ্যাজেট। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে গ্যাজেটগুলো। কতটা নিখুঁতভাবে কাজ করে, তা নিয়ে তর্ক উঠতেই পারে, তবে এ বছরও বিশ্বজুড়ে আড়াই কোটির বেশি মানুষ স্বাস্থ্যের জন্য ভরসা রাখছেন এগুলোর উপরই।

Advertisement

রকমফের

ফিটনেস বা হেল্থ ট্র্যাকার মূলত তিন ধরনের। প্রথম হল, কবজিতে পরার ব্যান্ডের মতো ফ্লেক্স বা ফুয়েল ব্যান্ড। অন্যটা হাতঘড়ির মতো নানা স্মার্টওয়াচ বা গিয়ার। আর তৃতীয় রকম হল, বুকে লাগিয়ে রাখার হার্টরেট মনিটর। দাম শুরু সাত হাজার টাকা থেকে। সারা দিন কতটা হাঁটলেন, দৌড়লেন, সিঁড়ি চড়লেন, দিনে হার্টরেট বা ব্লাডপ্রেশার কখন কেমন থাকল, সব জেনে নিতে পারবেন এর সাহায্যে। হার্টরেট বা রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে, ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকলে সাবধান করে দেবে আওয়াজ দিয়ে। সারা দিনের অ্যাক্টিভিটি জেনে নিতে পারেন ফিটনেস ট্র্যাকার দিয়ে। ফলে নিজেকে মোটিভেট করার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। আর একটা কাজের জিনিস হল হেল্থ অ্যাপস। অনেকে জিমে না গিয়ে অ্যাপস দেখেই এক্সারসাইজ করছেন।

Advertisement

পরামর্শের জন্যও

হেল্থ অ্যাপসের মাধ্যমে এক্সারসাইজ থেকে শুরু করে অনলাইনে চিকিৎসকদের মতামত, সব পেয়ে যাবেন। অনেক অ্যাপস তো কোন ওষুধ খাবেন, তার পরামর্শ পর্যন্ত দিয়ে দেয়। শুধু তা-ই নয়, গুগল আবার তৈরি করছে এমন এক কনট্যাক্ট লেন্স যা বলে দেবে ব্লাড সুগার লেভেল। তাই বলে মনিটরের তথ্য যে একশো শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু সেই পরিসংখ্যান অভিজ্ঞ ডাক্তারকে দেখালে কাজে দেবে।

ট্র্যাকারের ব্যবহার

ধীরে ধীরে হলেও সচেতনতা যে বাড়ছে তার ইঙ্গিত দিচ্ছে পরিসংখ্যান। বিদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কোনও না কোনও ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করেন। ভারতের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই। ফিটনেস ট্র্যাকার যাঁরা ব্যবহার করেন তাঁরা এমনিতেই স্বাস্থ্যসচেতন। তবে স্বাস্থ্যসচেতন নয়, এমন ব্যক্তিও এই ডিভাইস থেকে উপকার পেতে পারেন। এগুলো একটা ‘কনস্ট্যান্ট রিমাইন্ডার’ হিসেবে কাজ করে। এবং পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো বারবার মনে করায়, আপনার ওয়র্কআউট করা উচিত।তা হলে আর দেরি কীসের? নিজের জন্য তো বটেই, পরিবারের জন্যও কিনে নিন ফিটনেস ট্র্যাকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন