আপনার সাহায্যে...

কনজাংটিভাইটিস হলে একদম স্টেরয়েড ড্রপ দেবেন না

চোখে বরং বেশ কয়েক বার উষ্ণ নুন-জলের ঝাপটা দিন। পরামর্শ ডা. নন্দিনী রায়-এরপ্র: আবার সেই বিচ্ছিরি কনজাংটিভাইটিস! রাস্তায় বা অফিসে কারও দিকে তাকাতেই ভয় লাগছে। উ: হ্যাঁ, এতে একটু ভোগান্তি হয় বটে। কিন্তু কারও দিকে তাকাতে অসুবিধে কোথায়? প্র: তাকালেই তো হয়ে যাবে? উ: একেবারেই ভুল ধারণা। এটা কি কাশি, যে হাওয়ায় জীবাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে?

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share:

প্র: আবার সেই বিচ্ছিরি কনজাংটিভাইটিস! রাস্তায় বা অফিসে কারও দিকে তাকাতেই ভয় লাগছে।
উ: হ্যাঁ, এতে একটু ভোগান্তি হয় বটে। কিন্তু কারও দিকে তাকাতে অসুবিধে কোথায়?

প্র: তাকালেই তো হয়ে যাবে?
উ: একেবারেই ভুল ধারণা। এটা কি কাশি, যে হাওয়ায় জীবাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে?

প্র: কিন্তু বাস্তবে এমনটাই তো হয়...
উ: তাকালে নয়, খেয়াল করে দেখুন যাঁর হয়েছে তাঁর চোখের সঙ্গে কোনও ভাবে ছোঁয়া লেগেছিল।

প্র: না না, একেবারেই না, কেউ তো আর যাঁর কনজাংটিভাইটিস হয়েছে তাঁর চোখে হাত দিয়ে নিজের চোখে হাত দেয় না...
উ: নানা ভাবে ব্যাপারটা হতে পারে। যেমন ধরুন যাঁর হয়েছে তিনি চোখ কচলে সেই হাত দিয়ে দরজার হাতল ধরল। সেই হাতল ধরে কেউ চোখে হাত দিলে তারও কনজাংটিভাইটিস হবে। বা ধরুন বাড়িতে কারও হয়েছে। তিনি রুমাল দিয়ে চোখ মুছলেন। অন্য কেউ সেই রুমালটা ধরে পরে আনমনে নিজের চোখে হাত দিলেন। তার থেকে হবে।

প্র: অত কি আর খেয়াল করা যায়?
উ: করতে হবে। একটু সাবধানে থাকলেই কিন্তু কনজাংটিভাইটিস এড়াতে পারবেন।

প্র: সেটা কী ভাবে সম্ভব? বাড়িতে এক জনের হলে সব্বার হবে...
উ: প্রথমত বাড়িতে যাঁর হয়েছে, তাঁর তোয়ালে, বালিশ, বিছানার চাদর ইত্যাদি আলাদা করে দেবেন। তিনি যেন তুলো দিয়ে চোখ মুছে তুলোটা মেঝেতে না ফেলেন বা টেবিলে কোথাও না রেখে দেন।

প্র: তার থেকেও হতে পারে?
উ: হ্যাঁ। এই সামান্য ব্যাপারগুলো খেয়াল করা হয় না বলেই তো কনজাংটিভাইটিস এত বেশি ছড়ায়। ব্যবহার করা তুলো বা ন্যাপকিন একেবারে বাইরে ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। হাতের কাছে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। বাড়িতে কারও হলে খেয়াল করে চোখে যখনই হাত দেবেন, বার বার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। এমনকী চোখের মেকআপ করার আগেও ভাল করে হাত ধুয়ে চোখে হাত দেবেন। এতে কনজাংটিভাইটিসের সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।

প্র: হলে পর কী করব?
উ: দিনে বেশ কয়েক বার উষ্ণ গরম জলে নুন দিয়ে চোখ ধোবেন। হাত দিয়ে পিচুটি সরাবেন না। প্রয়োজন মতো গরম জলে তুলো ভিজিয়ে সেটা দিয়ে বার বার চোখ মুছবেন। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে অ্যান্টিবায়োটিক আই ড্রপ দিনে চার থেকে পাঁচ বার দিতে পারেন।

প্র: স্টেরয়েড ড্রপ দিলে আরাম লাগে?
উ: না ওটা দেবেন না। সাময়িক আরাম লাগলেও সারতে সময় নেবে।

প্র: কনজাংটিভাইটিস তো দিন দুই-তিন ভুগিয়ে এমনি এমনি সেরে যায়। তার জন্য আবার ডাক্তার দোখানো?
উ: কারও কারও কর্নিয়াতে কনজাংটিভাইটিস হয়। তখন ভোগান্তি বেশি হয়। চোখ ফুলে যায়। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো দরকার।

প্র: তক্ষুনি তক্ষুনি ডাক্তারের কাছে যেতে না পারলে বাড়িতে কী করব?
উ: সে ক্ষেত্রে ওই যে বললাম, নুন জলের ঝাপটা দেবেন। বেশি কটকট করলে অ্যান্টিবায়োটিক আই ড্রপ সিক্রোফক্সাসিন দিনে চার থেকে পাঁচ বার চোখে দেবেন। অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে শুতে হবে। তাতে পিচুটির জন্য চোখ আটকে যাবে না। নিজে নিজে দোকান থেকে কোনও রকম স্টেরয়েড ড্রপ কিনে চোখে দেবেন না। বাইরে বেরোনোর সময় রোদচশমা ব্যবহার করবেন।

প্র: সম্প্রতি চোখের অপারেশন হয়েছে বা যাঁদের চোখে এমনিতেই সমস্যা আছে, তাঁদের কনজাংটিভাইটিস হলে কি আলাদা করে কোনও সমস্যা হয়?

উ: চোখের অপারেশন মাস দুই আগে হলে অসুবিধে নেই। কিন্তু যাঁদের সম্প্রতি কোনও অপারেশন যেমন ছানি অপারেশন হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। এবং তা নিয়মিত।

Advertisement

Advertisement

যোগাযোগ: ২৪৫৪-৪৯৭৩

সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন