জীবন বিমার নানান রকম

বিপদ তো আর আগে থেকে জানিয়ে আসে না। চারিদিকেই বিপদ ওঁত পেতে বসে আছে, হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জীবন বিমাকে জীবনে চলার পথে ঝুঁকির রক্ষাকবচ হিসেবে ভাবাটাই সহজ। জীবনের ঝুঁকিও তো নানা রকমের। বিপদ তো আর আগে থেকে জানিয়ে আসে না। চারিদিকেই বিপদ ওঁত পেতে বসে আছে, হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তাই কখন কী হয় কেউ বলতে পারে না।দুর্ঘটনার পর যখন বাধ্য হয়ে বেশ কিছুদিন কাজ থেকে বসে গেলেন, সে সময়ে আর্থিক সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর মানুষ খুঁজে পাওয়াই দায় হয়ে যায়। ঠিক মতো করা বিমা কিন্তু এই সময়ে আপনার পাশে দাঁড়াবে। আবার আপনি চাইছেন এমন বিমা করি যা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও একটু সুরাহা করবে। তাহলে কোন বিমার রাস্তায় হাঁটবেন? বিমা সংস্থারাও এই সব ভেবেই নানা রকম বিমা বাজারে নিয়ে আসে। তাই জেনে নিন জীবন বিমার মূল কয়েকটি ভাগ।

Advertisement

ক) টার্ম লাইফ ইনসিওরেন্স

বাজারে সব থেকে সস্তা পলিসি। সস্তা বলেই একে নাকচ করবেন না। অনেকেরই মতে এটাই সব থেকে উৎকৃষ্ট জীবন বিমা। এই বিমা কিনতে হয় একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তুলনামূলক ভাবে নাম মাত্র খরচে অনেক বেশি টাকার বিমা করানো যায় টার্ম প্ল্যানে। না, বিমার সময় শেষে বেঁচে থাকলে সাধারণ ভাবে কোনও টাকা ফেরত পাওয়া যায় না। অনেকেই বলেন, টাকা জমানোর রাস্তা হিসাবে বিমাকে না দেখে, ঝুঁকি সামলানোর রাস্তা হিসেবেই একে দেখা ভাল। কম পয়সায় বিমা করিয়ে, প্রিমিয়ামের বাকি টাকাটা কোনও সঞ্চয় প্রকল্পে ঢালাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু অন্যমতও আছে। মাথায় রাখবেন, সঞ্চয় করবেন আপনি। প্রয়োজন আপনার। তাই সব পক্ষের মতামত শুনে নিজের রাস্তা নিজেকেই বেছে নিতে হবে। তবে বিমার ঝুলিতে একটা টার্ম প্ল্যান থাকা বোধহয় ভাল।

Advertisement

খ) হোল লাইফ বা সারা জীবনের বিমা

চরিত্রগত ভাবে এই বিমা টার্ম প্ল্যানের থেকে আলাদা। এটা সারা জীবনের জন্য। কোনও কোনও প্ল্যানে আবার কিছু টাকাও হাতে পাওয়া যায় প্রিমিয়ামের দায় শেষ হলে। তার পরেও অবশ্য বিমা চালু থাকে বিমাকারীর নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত এবং তার মধ্যে বিমাকারীর মৃত্যু হলে নমিনি বিমার টাকাটা পেয়ে থাকেন।

গ) মিশ্র গোত্রের প্ল্যান

এই জাতীয় বিমার মূল পন্থাটাই হল, বিমাকারীর জীবনের ঝুঁকি এবং সঞ্চয়ের দাবি এক ধাক্কায় মিটিয়ে দেওয়া। আপনি যে প্রিমিয়াম দেবেন, সেই প্রিমিয়ামের একটা অংশ জীবনের ঝুঁকির জন্য বরাদ্দ করে, বাকিটা নানান ভাবে বিনিয়োগ করে আপনার সঞ্চয়ের তহবিল তৈরি করা। এই গোত্রের মধ্যে থাকবে ইউলিপের মতো প্রকল্প। মাথায় রাখবেন অনেক বিশেষজ্ঞই আবার এটা পছন্দ করেন না। তাঁদের যুক্তি হল, ইউলিপের মতো প্রকল্পগুলিতে বিমাকারী নিয়মিত নিজের বিনিয়োগ মাজাঘষা করার সুযোগ সেই ভাবে পান না। তাই যদি বাজারে বিনিয়োগ করতেই হয়, টার্ম প্ল্যান কিনে বাকিটা মিউচুয়াল ফান্ডে সরাসরি রাখাই ভাল। মানি-ব্যাক পলিসি, যাতে নির্দিষ্ট সময় পর পর থোক টাকা পাওয়া যায়, তাও এই গোত্রেরই অংশীদার হিসাবে ভাবা যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন