Mystery About Dead Body

দেহে ক্ষয়ের লেশমাত্র নেই! মৃত্যুর চার বছর পর মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল সন্ন্যাসিনীর ‘জীবন্ত দেহ’

কফিন খোলার পর আঁতকে ওঠেন সন্ন্যাসিনীরা। উইলহেলমিনার দেহে ক্ষয়ের লেশমাত্র নেই। বরং দেখে মনে হচ্ছে এ যেন একদম জীবন্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
টেক্সাস (আমেরিকা) শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ১৪:০১
Share:
০১ ১৮

প্রব্রাজিকার মৃত্যু হয়েছে চার বছর আগে। ২০১৯ সাল থেকেই কফিনে বন্দি তিনি। চার বছর পার হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মেই দেহের ক্ষয় হওয়ার কথা। সে ধারণা নিয়েই কফিন খুলেছিলেন মঠবাসিনীরা। কিন্তু কফিন খুলতেই চমকে গেলেন তাঁরা। দেহ যে এখনও ক্ষয়হীন!প্রব্রাজিকা যেন জীবন্ত! তার পর থেকেই শহরে ঘনিয়েছে রহস্য।

০২ ১৮

২০১৯ সালের ২৯ মে দেহত্যাগ করেছিলেন সিস্টার উইলহেলমিনা ল্যাঙ্কস্টার। আমেরিকার কানসাস সিটির মিসৌরি শহরের এক গির্জার সন্ন্যাসিনী ছিলেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১৮

চার বছর আগে কফিনবন্দি করা হয় ৯৫ বছর বয়সি উইলহেলমিনাকে। চলতি বছরে তাঁর কফিন অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

০৪ ১৮

কফিন স্থানান্তর করা হবে বলে গির্জার অন্য সন্ন্যাসিনীদের কফিন খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ মতো নির্দিষ্ট জায়গার মাটি খোঁড়ার পর উইলহেলমিনার কফিন বার করে আনা হয়।

০৫ ১৮

উইলহেলমিনার কফিন ঘিরে দাঁড়িয়ে পড়েন গির্জার সন্ন্যাসিনীরা। স্বাভাবিক ভাবে তাঁরা আশা করেছিলেন, কফিনের ভিতরে থাকা দেহ এত বছর বন্দি থাকার ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে।

০৬ ১৮

কিন্তু কফিন খোলার পর আঁতকে ওঠেন সন্ন্যাসিনীরা। উইলহেলমিনার দেহে ক্ষয়ের লেশমাত্র নেই। বরং দেখে মনে হচ্ছে তিনি যেন একদম জীবন্ত। চার বছর পর এতটুকুও বদল আসেনি উইলহেলমিনার মৃতদেহে।

০৭ ১৮

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্ষয় না হলেও কাঠের তৈরি কফিনের ভিতরে থাকার ফলে উইলহেলমিনার দেহের উপর ছত্রাকের হালকা আস্তরণ তৈরি হয়েছে।

০৮ ১৮

১৮ মে, বৃহস্পতিবার উইলহেলমিনার কফিন প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সন্ন্যাসিনী তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান।

০৯ ১৮

এক সাক্ষাৎকারে সন্ন্যাসিনী বলেন, ‘‘আমাদের সকলকে জানানো হয়েছিল যে কফিন খুলে তার ভিতর থেকে হাড়ের টুকরো ছা়ড়া বিশেষ কিছু পাওয়া যাবে না।’’ বিশেষ কোনও জিনিস ব্যবহার না করেই কাঠের সাধারণ কফিনে দেহ রাখা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেন সন্ন্যাসিনী।

১০ ১৮

সন্ন্যাসিনীর দাবি, চোখের পাতা থেকে চুল, ভ্রু, ঠোঁট, নাক কোনও কিছুই ক্ষয় হয়নি উইলহেলমিনার। তিনি বলেন, ‘‘উইলহেলমিনাকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছেন।’’

১১ ১৮

উইলহেলমিনার খবর তড়িৎগতিতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। শহরের অধিকাংশ বাসিন্দাদের মতে, ‘‘এ ঘটনা মিসৌরির ‘মিরাকল’।’’

১২ ১৮

আপাতত গির্জার মধ্যে এক জায়গায় রাখা হয়েছে উইলহেলমিনার কফিন। তাঁর দেহ দেখতে দলে দলে গির্জায় ভিড় জমাচ্ছেন শহরের লোকেরা।

১৩ ১৮

গির্জার তরফে কফিনের কাছে একটি নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে, ‘‘সিস্টারের দেহ সাবধানে স্পর্শ করবেন। বিশেষ করে তাঁর পা ছোঁয়ার সময় সতর্ক থাকুন।’’

১৪ ১৮

কয়েক জন বিশেষজ্ঞের দাবি, কফিনে বহু বছর বন্দি থাকার পর দেহ ক্ষয় হয় না, এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই ঘটনা যে একেবারে অস্বাভাবিক নয় তা-ও দাবি করছেন তাঁরা।

১৫ ১৮

ওয়েস্টার্ন ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিকোলাস ভি পাসালাকুয়া জানিয়েছেন, দেহ কখন ক্ষয় হতে শুরু করবে তার সঠিক সময় নির্ধারণ করা মুশকিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্ষয়ের সময় বদলে যায়।

১৬ ১৮

সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিকোলাস জানান, মিশরে মৃতদেহ স্বেচ্ছায় সংরক্ষিত করা হয়। মমিগুলি তার উদাহরণ বহন করে।

১৭ ১৮

এমনকি ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার বছর ধরে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। তবে তার কারণ ভিন্ন। সেখানকার পরিবেশে অক্সিজেনের মাত্রা এতটাই কম যে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হয় না। তাই দেহক্ষয়ের সম্ভাবনাও ক্ষীণ।

১৮ ১৮

কানসাস সিটির বিশপের কাছেও উইলহেলমিনার দেহক্ষয় না হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। এ যেন গির্জার এক রহস্য। তবে গির্জার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত উইলহেলমিনার দেহ খোলা জায়গায় রাখা হবে। তার পরেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে তাঁর কফিনটি কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হবে।

সকল ছবি সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement