Abhinav Chandrachud

বাবা-দাদু দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সেই অভিনব সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করবেন রণবীরের হয়ে

তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরগুলি একত্রিত করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রণবীর। শুক্রবার তাঁর হয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা করেন আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্টে রণবীরের হয়ে সওয়াল করবেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৫
Share:
০১ ২০

কৌতুক অভিনেতা সময় রায়নার ইউটিউব শো ‘ইন্ডিয়া’জ় গট ল্যাটেন্ট’-এ বেঁফাস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর ইলাহাবাদিয়া ওরফে ‘বিয়ারবাইসেপ্‌‌স’। অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে দেশ জুড়ে।

০২ ২০

অন্য দিকে, রণবীর তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন যে, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ-হেন পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘বিয়ারবাইসেপস’।

Advertisement
০৩ ২০

তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরগুলি একত্রিত করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রণবীর। শুক্রবার তাঁর হয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা করেন আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্টে রণবীরের হয়ে সওয়াল করবেন তিনি।

০৪ ২০

ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আবেদন করেন অভিনব। রণবীরের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরগুলি সম্পর্কে বেঞ্চকে অবহিত করার পরে জরুরি শুনানির আবেদন করেন তিনি।

০৫ ২০

আর তার পর থেকেই দেশবাসীর নজর অভিনবের দিকে। তাঁর পরিচয় জানার পর তরুণ আইনজীবীকে নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

০৬ ২০

অভিনব সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় ওরফে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পুত্র এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড় ওরফে ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের নাতি।

০৭ ২০

১৯৯৮ সালে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হন। দু’বছর পর বম্বে হাইকোর্টেরই বিচারপতি নিযুক্ত হন তিনি। এর পর ২০১৩ সালে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ২০১৬ সালের ১৩ মে নিযুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে। এর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে দেশের প্রধান বিচারপতি হন তিনি।

০৮ ২০

ডিওয়াই চন্দ্রচূড় যত দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন তত দিন, অর্থাৎ গত প্রায় সাড়ে আট বছরে পুত্র অভিনবকে সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলায় সওয়াল করতে দেখা যায়নি।

০৯ ২০

ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর বিদায়ী বক্তৃতায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি একবার তাঁর দুই পুত্র অভিনব এবং চিন্তনকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে বলেছিলেন। তবে, দু’জনেই পেশাদারি কারণে এবং তাঁদের পিতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার কারণে রাজি হননি।

১০ ২০

২০০৮ সালে মুম্বইয়ের গভর্নমেন্ট ল কলেজ থেকে স্নাতক হন অভিনব।

১১ ২০

মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ‘র‌্যাঙ্ক-হোল্ডার’ ছিলেন অভিনব। সাংবিধানিক আইনে বিচারপতি ডিপি ম্যাডন পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

১২ ২০

এর পর হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। স্ট্যানফোর্ড ল স্কুল থেকে ‘সায়েন্স অফ ল’ নিয়ে আরও একটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিষয়ে গবেষণাও করেন সেখান থেকে।

১৩ ২০

অভিনব আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ‘গিবসন, ডান অ্যান্ড ক্রাচার’-এ সহযোগী আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছিলেন। অভিজ্ঞ আইনজীবী ছাড়াও দক্ষ লেখক এবং শিক্ষাবিদ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

১৪ ২০

অভিনবের লেখা বইগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সুপ্রিম হুইস্পার্স: কনভারসেশনস উইথ জাজেস অফ দ্য সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া ১৯৮০-১৯৮৯’ এবং ‘রিপাবলিক অফ রেটরিক: ফ্রি স্পিচ অ্যান্ড দ্য কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া’।

১৫ ২০

সেই অভিনবই এ বার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করবেন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ইউটিউবার রণবীরের হয়ে।

১৬ ২০

কিন্তু কেন বিতর্কে রণবীর? বিতর্কের সূত্রপাত ইউটিউবের অনুষ্ঠান চলাকালীন রণবীরের এক মন্তব্যকে ঘিরে। সময় সঞ্চালিত অনুষ্ঠানের মাঝে এক প্রতিযোগীকে রণবীর প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি সারা জীবন ধরে প্রতি দিন নিজের বাবা-মাকে সঙ্গম করতে দেখতে চান, না এক বার যোগ দিয়ে তাঁদের সঙ্গম চিরতরে বন্ধ করতে চান? কোনটা বেছে নেবেন?’’

১৭ ২০

রণবীরকে ওই প্রশ্ন করতে শুনে চমকে যান সময়ও। প্রশ্ন করে বসেন, ‘‘এ সব কী হচ্ছে ভাই?’’ তবে থামানো যায়নি ‘বিয়ারবাইসেপ্‌স’কে। পরে ওই প্রতিযোগীকে যৌনাঙ্গের আকার নিয়েও প্রশ্ন করতে শোনা যায় তাঁকে। বাকি বিচারকেরা রণবীরের ওই সব প্রশ্ন শুনে হাসতে থাকেন।

১৮ ২০

রণবীরের সেই মন্তব্যের ভিডিয়ো দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর প্রশ্ন অশালীন এবং আপত্তিকর বলে দাবি করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান অনেকে। সমাজমাধ্যমে রোষের মুখে পড়েন রণবীর। নেটাগরিকদের অনেকেরই দাবি, রণবীর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে ওই মন্তব্য করেছেন।

১৯ ২০

নেটাগরিকদের সমালোচনার মুখে পড়েন সময়ও। শোয়ে ওই ধরনের কথাবার্তা বলার অনুমতি দেওয়ার এবং যৌনতা প্রচারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

২০ ২০

তবে তাঁর মন্তব্য নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন রণবীর। জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর মন্তব্য অনুপযুক্ত এবং কোনও ভাবেই মজার নয়। ‘বিয়ারবাইসেপ্‌স’ বলেন, ‘‘আমার মন্তব্যটি শুধু যে অনুপযুক্ত ছিল তা-ই নয়, এতে মজাও ছিল না। আমি সে ভাবে কৌতুক করতে পারি না। আমি শুধু বলতে চাই যে আমি দুঃখিত।’’

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement